|
|
|
|
| |
| দুই অভিযুক্ত ‘নাবালক’, পিছোল নেতাই মামলা |
| নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
হাইকোর্টের রায়ের প্রতিলিপি এসে না-পৌঁছনোয় এগোচ্ছে না নেতাই মামলা। শুরু করা যাচ্ছে না নতুন করে চার্জগঠন সংক্রান্ত শুনানিও। বুধবার আবার এই মামলায় ধৃত দুই অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, ঘটনার সময়ে ওই দু’জন নাবালক ছিল। আদালত এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করার নির্দেশ দেয়। মামলার পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে আগামী ৫ জুন। হাইকোর্টের রায়ের প্রতিলিপি এসে পৌঁছলে ওই দিন নতুন করে চার্জগঠনের শুনানি হতে পারে।
গত বছরের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে সিপিএমের ‘সশস্ত্র’ শিবির থেকে গুলি চালানোর ঘটনায় ৪ মহিলা-সহ ৯ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ২৮ জন। ঘটনাটিকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলে আদালতে চার্জশিট দেয় সিবিআই। গত বছর ৪ এপ্রিল ২০ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর নামে চার্জশিট দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ১২ জন গ্রেফতার হয়েছেন। বাকি ৮ জনই ‘ফেরার’। ফেরারদের মধ্যে রয়েছেন সিপিএমের বিনপুর (লালগড়) জোনাল কমিটির সম্পাদক অনুজ পাণ্ডে, ধরমপুর, বেলাটিকরি ও লালগড় লোকাল কমিটির সম্পাদক যথাক্রমে ডালিম পাণ্ডে, চণ্ডী করণ ও জয়দেব গিরি। এ ছাড়া রয়েছেন খলিলউদ্দিন, তপন দে, জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য ফুল্লরা মণ্ডল ও রথীন দণ্ডপাটের নাম। এই রথীন দণ্ডপাটের বাড়িতেই সিপিএমের ‘সশস্ত্র’ শিবির ছিল বলে অভিযোগ।
বুধবার এই মামলায় জেলবন্দি সিপিএমের লালগড় লোকাল কমিটির সদস্য অবনীভূষণ সিংহ সহ-১২ জন অভিযুক্তকে মেদিনীপুরের বিশেষ জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির করা হয়। তবে, হাইকোর্টের নতুন করে চার্জ-গঠন সংক্রান্ত রায়ের প্রতিলিপি এসে না-পৌঁছনোয় মামলা এগোনো সম্ভব হয়নি। গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুরের বিশেষ জেলা ও দায়রা আদালতে নেতাই মামলার এক দফা চার্জগঠন হয়েছিল। গত ১৪ নভেম্বর থেকে মামলার বিচার-পর্ব শুরু হওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু, নিম্ন আদালতের এই চার্জগঠন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয় অভিযুক্তপক্ষ। গত ২৪ এপ্রিল এই মামলায় নতুন করে চার্জগঠনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
বুধবার মেদিনীপুরের বিশেষ জেলা ও দায়রা আদালতে নেতাই মামলার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু, এখনও হাইকোর্টের ওই রায়ের প্রতিলিপি মেদিনীপুর আদালতে এসে পৌঁছয়নি। ফলে এ দিন আর মামলা এগোনো সম্ভব হয়নি। তবে অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, রাজীব রায় ওরফে রাজু ও স্বপন রায় নামে জেলবন্দি দু’জন ঘটনার সময়ে নাবালক ছিল। আদালত এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন বার্থ-সার্টিফিকেট, স্কুল-সার্টিফিকেট দাখিল করার নির্দেশ দেয়। বিচারক পার্থপ্রতিম দাস আগামী ৫ জুন মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন। |
|
|
 |
|
|
