|
|
|
|
আমলাশোলে এ বার সচিব
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কবে আসবেন জানা যায়নি। তবে, আমলাশোলের গ্রামে প্রশাসনিক কর্তাদের ঘন-ঘন সফর নিশ্চিত করছে, ‘দিদি’ আসছেন অবশ্যই। জেলা প্রশাসনের সফরের পর শনিবার বিকেলে আমলাশোল ঘুরে গেলেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের সচিব সৌরভকুমার দাস। আমলাশোল গ্রামে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখেন সৌরভবাবু।
নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে জঙ্গলমহল সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভাটি হবে বেলপাহাড়িতে। এখনও চূড়ান্ত দিন ধার্য হয়নি। প্রশাসন সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রী এবার বেলপাহাড়ি ব্লকের আমলাশোল ও পার্শ্ববর্তী দু’একটি গ্রামে যেতে পারেন। সেই মতো প্রশাসনিক মহলে তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
গত ১৪ ডিসেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ আমলাশোল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। ফের গত বৃহস্পতিবার প্রাক্তন মাওবাদী নেত্রী জাগরী বাস্কের গ্রাম বগডোবায় গিয়ে বাসিন্দাদের হাতে পোশাক, কম্বল, সব্জিবীজ, শিশুদের জলের বোতল, খেলার সামগ্রী তুলে দিয়েছিলেন উত্তরাদেবী এবং জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারি। মুখ্যমন্ত্রীর সম্ভাব্য সফর ঘিরে সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে প্রশাসন। সামান্য অভিযোগ পেলেই যথাযথ পদক্ষেপ করা হচ্ছে। যেমন, গত ১৪ ডিসেম্বর আমলাশোল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিলে খিচুড়ির মান দেখে অসন্তুষ্ট হন উত্তরাদেবী। গত ১৬ ডিসেম্বর ওই স্কুলের টিচার ইন চার্জ মলয়কুমার মণ্ডলকে শো-কজ করেন বেলপাহাড়ি (পশ্চিম) প্রাথমিক চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক। শো-কজের জবাবে অবশ্য মলয়বাবু জানিয়েছেন, তাঁর স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা মাত্র ২৪। সভাধিপতির সফরের দিনে ১৮ জন পড়ুয়া হাজির ছিল। পড়ুয়া পিছু বরাদ্দ ৩ টাকা ৫১ পয়সায় তাঁরা সাধ্যমতো রান্নার আয়োজন করেন। |
মুখ্যমন্ত্রী আসবেন, তাই সংস্কার হচ্ছে বেলপাহাড়ি-কাঁকড়াঝোরের পিচ রাস্তা। ছবি: দেবরাজ ঘোষ। |
বিদ্যুৎ ব্যবস্থার হাল ফেরাতেও সক্রিয় হয়েছে প্রশাসন। গত ১৪ ডিসেম্বর আমলাশোলের বাসিন্দারা উত্তরাদেবীকে জানিয়েছিলেন, প্রায় ৫০ কিমি দূরে বিনপুরে গিয়ে তাঁদের ইলেকট্রিক বিল জমা দিতে যেতে হয়। কাছাকাছি বিল জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য সভাধিপতি ও বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষের কাছে আর্জি জানান বাসিন্দারা। এ দিকে, বগডোবার মতো বেলপাহাড়ির কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ আসেনি এখনও। গত বৃহস্পতিবার বগডোবা গ্রামের বাসিন্দারা উত্তরাদেবী ও জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতির কাছে বিদ্যুতের দাবি জানান। এরপরই তড়িঘড়ি গত শুক্রবার জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত স্থায়ী সমিতির বৈঠকে বগডোবার মতো গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অমূল্যবাবু বলেন, “বগডোবার মতো বিদ্যুৎহীন গ্রামগুলিতে দ্রুত বিদ্যুদয়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে বগডোবা গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে। এ ছাড়া বিদ্যুতের বিল জমা নেওয়ার জন্য বেলপাহাড়িতে একটি কাস্টমার কেয়ার সেন্টার করা হচ্ছে।” প্রশাসন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী ওই কাস্টামার কেয়ার সেন্টারটির উদ্বোধন করবেন।
বেলপাহাড়ি থেকে কাঁকড়াঝোর পর্যন্ত ২৫ কিমি পিচ রাস্তাটির সংস্কার করা হচ্ছে। আমলাশোল গ্রামে ঢালাই রাস্তা রয়েছে। কিন্তু কাঁকড়াঝোর থেকে আমলাশোল যাওয়ার রাস্তাটির দু’কিমি অংশ এখনও মোরামের। ওই অংশটিও পিচ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
|
পুরনো খবর: পাকা বাড়ি-রাস্তা-নলকূপ, অনেক পাল্টেছে আমলাশোল |
|
|
|
|
|