|
|
|
|
বাড়তি নজরদারির লক্ষ্যে হলদিয়ায় বসছে সিসিটিভি
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
অপরাধমূলক কাজে নিয়ন্ত্রণ আনার লক্ষ্যে এ বার হলদিয়ায় বসবে ‘নাইট-ভিশন’ সুবিধাযুক্ত সিসিটিভি। জেলা পুলিশ ও হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের (এইচডিএ) যৌথ উদ্যোগে শিল্পাঞ্চল, বন্দর-সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বসবে এই নজরদারি ক্যামেরা। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী জানান, সিসিটিভি বসাতে অর্থ দিচ্ছে এইচডিএ। এখন দরপত্র দেওয়ার কাজ চলছে। আগামী বছরের জানুয়ারিতেই কাজ শেষ করার আশা করছে পুলিশ ও এইচডিএ।
কয়েক মাস আগে পুলিশের পক্ষ থেকে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদকে ওই ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে প্রস্তাব দেওয়া হয়। পর্ষদ সায় দিলে তার প্রক্রিয়াগত কাজ শুরু হয়। অত্যাধুনিক ‘নাইট ভিশন’ সুবিধা ও ৩৬০ ডিগ্রি ঘোরার ক্ষমতাসম্পন্ন ওই ক্যামেরাগুলি বসানো হবে মঞ্জুশ্রী, কাপাসএড়্যা, ব্রজলালচক, রানিচক, সিটি সেন্টার, চৈতন্যপুর, কুঁকড়াহাটি-সহ ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক, হলদিয়া মেচেদা রাজ্য সড়ক, জেটি ও ফেরিঘাটের নানা স্থানে। ক্যামেরা চুরি রুখতে ক্যামেরা পিছু একজন করে পুলিশকর্মীও থাকবেন। হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, “হলদিয়ায় শিল্পাঞ্চল ও বন্দর থাকায় অপরাধ প্রবণতা অন্য এলাকার চেয়ে বেশি। অপরাধ রুখতে ও নজরদারি বাড়াতে সিসিটিভিগুলি সহায়ক হবে। ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া ফুটেজ সরাসরি চলে যাবে তমলুক ও হলদিয়ার কন্ট্রোল রুমে। তা ছাড়া বন্দর, শিল্প সংস্থা ও বড় বড় মার্কেট কমপ্লেক্সে কোনও বড় ঘটনা ঘটলে দুষ্কৃতীদের ধরতে সিসিটিভি-র ছবি কাজে লাগবে।”
পাশাপাশি বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন শিল্পসংস্থা, ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, বড় বড় মার্কেট কমপ্লেক্সকে নিজেদের উদ্যোগে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। তাতে ইতিবাচক সাড়াও মিলেছে বলে জানিয়েছেন হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। ‘কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের হলদিয়া শাখার পক্ষ থেকেও ওই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তাদের বক্তব্য, সংস্থাগুলির কয়েক’টিতে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য ওই ক্যামেরা আছে। কারখানাগুলির গেটে ও অন্যত্র আরও ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। বন্দরের ম্যানেজার (প্রশাসন) অমল দত্ত বলেন, “বন্দরে বিভিন্ন এলাকায় নিজেদের খরচে আরও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
এমনিতে হলদিয়ায় চুরি-ছিনতাই লেগেই রয়েছে। অধিকাংশেরই কিনারা হয় না বলে পুলিশের ভূমিকায় যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে এলাকাবাসীর। এই প্রেক্ষিতে এইচডিএ ও পুলিশের সিসিটিভি বসানোর উদ্যোগে কিছুটা হলেও স্বস্তি খুঁজে পাচ্ছেন শহরবাসী। |
|
|
|
|
|