চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই হাজির হলেন অর্পিতা ঘোষ। তবে আদালতে নয়। সাংবাদিক বৈঠকে।
মঙ্গলবার সারদা মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে যেতে পারেননি পেটের গোলমালের জন্য। সরকারি আইনজীবী ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন-সহ তাঁর আবেদন জমা দিয়েছিলেন। তাতে বলা ছিল, চিকিৎসক অর্পিতাদেবীকে দু’সপ্তাহ বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এর জেরে বিধাননগরের এসিজেএম আদালত দেড় মাস পিছিয়ে দেয় সারদা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ।
বুধবার বিকেলেই সারদা-কাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযোগকারী, অসুস্থ অর্পিতাদেবীকে দেখা গেল নন্দনে। তৃতীয় কলকাতা আন্তর্জাতিক শিশু-কিশোর চলচ্চিত্র উৎসব উপলক্ষে নন্দনে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠক করলেন তিনি। শিশু-কিশোর চলচ্চিত্র উৎসবের অধিকর্তা হিসেবে উৎসব সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানালেন প্রায় ৪০ মিনিট ধরে। অসুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমার শরীর ভাল যাচ্ছে না।” জানতে চাওয়া হয়েছিল, এ দিনের অনুষ্ঠানে এলেও, মঙ্গলবার কেন আদালতে গেলেন না? জবাবে অর্পিতাদেবী বলেন, “যা বলার আদালতকে জানিয়েছি। এর বেশি আমি কোনও উত্তর দেব না।” |
অর্পিতাদেবীর সাক্ষ্য দিতে না আসা নিয়ে মঙ্গলবার অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে প্রশ্ন তুলেছিলেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে যদি হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসে আদালতে হাজির করানো যায়, তবে অর্পিতাদেবীর ক্ষেত্রে অন্য রকম ব্যবস্থা কেন? অর্পিতাদেবীর সাংবাদিক বৈঠকের পরে অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, ‘‘ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। এতে আইনি ব্যবস্থাকে উপেক্ষা করা হল। উপযুক্ত প্রমাণ-সহ যা বলার আদালতে জানাব।”
অর্পিতাদেবীর অসুস্থতার বিষয়টি জানিয়ে তাঁকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আরও সময় দেওয়ার জন্য আলাদা ভাবে আবেদন করেছিল সরকার পক্ষও। সরকার পক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি শেখর চক্রবর্তী এ দিন বলেন, “অর্পিতাদেবী সোমবার থেকে অসুস্থ ছিলেন।
তাই মঙ্গলবার সারদা মামলায় সাক্ষ্য দিতে হাজির হতে পারেননি। এটুকুই আমি জানি।”
|