দোষ প্রমাণ হলে আত্মহত্যা, হুঙ্কার গাটুসোর
নিজস্ব প্রতিবেদন
১৮ ডিসেম্বর |
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ প্রমাণ হলে প্রকাশ্যে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিলেন জোনারো গাটুসো।
২০০৬ বিশ্বকাপ জয়ী, দু’বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর দু’বারের সেরি এ জয়ী মিডফিল্ডারের বিরুদ্ধে ইতালীয় পুলিশ মঙ্গলবারই গড়াপেটায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি হয়েছে। যার পর গাটুসো বলে দেন, “এ রকম একটা অপরাধে জড়িত প্রমাণ হলে টাউন স্কোয়ারে গিয়ে সবার সামনে নিজেকে শেষ করে দিতে প্রস্তুত। মন থেকে বলছি, দোষ প্রমাণ হলে আমার জীবনের আর কোনও মূল্য থাকবে না। কারও চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারব না।” ইতালীয় তারকা সঙ্গে আরও যোগ করেন, “জীবনে কখনও কারও সঙ্গে ম্যাচ গড়াপেটা করার জন্য বসিনি। কোনও দিন গড়াপেটার কথা চিন্তাই করিনি। হার সহ্য করতে পারি না বলে বন্ধুদের সঙ্গে কখনও ফাইভ এ সাইড ম্যাচও খেলিনি। ভিত্তিহীন অভিযোগ। ম্যাচ গড়াপেটা কী বস্তু সেটাই জানি না।”
ইতালীয় পুলিশ গত ক’য়েক দিন অভিযান চালিয়ে গড়াপেটা কাণ্ডে চার জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে এক জনের নাম ফ্রান্সেসকো বাজানি। এই ব্যক্তির উপরই ম্যাচ গড়াপেটাকারী একটি চক্রের হয়ে কাজ করার ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে। বাজানি-ই প্রাক্তন এসি মিলান তারকার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে দাবি ইতালীয় পুলিশের। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার বলেন, “ফোন ট্যাপ করার পর গাটুসো আর প্রাক্তন লাজিও ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ান ব্রোচ্চির সঙ্গে এই মামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।” পুলিশের অভিযোগ বাজানি ১৩টি টেক্টট মেসেজ পাঠিয়েছেন গাটুসোকে আর বেশ ক’য়েকটি ব্রোচ্চিকে। গাটুসো যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁর পাল্টা দাবি, “ফোন রেকর্ড অনুযায়ী বাজানি আমায় টেক্সট পাঠালেও আমি কোনও জবাব দিইনি। এই ব্যক্তি অর্ধেক সিরি এ চেনে। শ’য়ে শ’য়ে অন্য ব্যক্তির মতো আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমি ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে কখনও কথা বলিনি ওর সঙ্গে।”
তবে একটা সময় তিনিও বেটিং করতেন সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন গাটুসো। “যখন অনুমতি ছিল, আমিও বেটিং করেছি। কিন্তু যখনই পেশাদারদের জন্য বেটিং নিষিদ্ধ করা হল আমিও সেটা বন্ধ করে দিয়েছি। এতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু এখানে বেটিং করার জন্য নয়, গড়াপেটার অভিযোগ আনা হয়েছে। আমার মাথায় কিছুতেই ঢুকছে না ওঁরা এমনটা কী ভাবে করতে পারেন।” |