ক্রিসমাসে চোট সারানোর হোমওয়ার্ক চিডিদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ইস্টবেঙ্গলকে আটকাতে সেই হোসে ব্যারেটোর দিকেই তাকিয়ে মোহনবাগান!
আজ বৃহস্পতিবার কলকাতা লিগের ম্যাচে যদি ব্রাজিলীয় তারকা ইস্টবেঙ্গলকে রুখে দিতে পারেন, তবে লাভবান হবে করিমের দল। সে জন্যই ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে আদরের তোতার সাফল্য চেয়ে প্রার্থনা করছেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা।
অন্য দিকে, ব্যারেটোকে সমীহ করছেন লাল-হলুদের নতুন কোচ আর্মান্দো কোলাসোও। বুধবার অনুশীলনের পর বললেন, “ব্যারেটোর মতো অভিজ্ঞ ফুটবলারকে গুরুত্ব তো দিতেই হবে। ও যখন-তখন ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে।”
তবে পয়েন্টের বিচারে এই মুহূর্তে মোহনবাগানের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে চিডি-মোগারা। চার ম্যাচ খেলে চারটিতেই জয় পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সেখানে মোহনবাগানের পয়েন্ট আট ম্যাচে আঠারো। তবে ব্যরেটোর ‘ছোট মোহনবাগান’ যদি আর্মান্দোর দলকে আটকে দেয়, কিছুটা হলেও অক্সিজেন পাবেন ওডাফারা। কিন্তু লাল-হলুদের বিরুদ্ধে নামার আগে ভবানীপুরকে দুশ্চিন্তায় রাখছে চোট-সমস্যা। |
লাল-হলুদ অনুশীলনে মেহতাব-চিডি। —নিজস্ব চিত্র। |
একই কারণে ইস্টবেঙ্গলও এই মুহূর্তে মিনি হাসপাতাল। সুয়োকা ছাড়া বাকি তিন বিদেশিরই চোট রয়েছে। জেমস মোগা তো বুধবার অনুশীলনেই আসতে পারেননি। ওপারা-চিডি এলেও অনুশীলন করেননি। অগত্যা এক বিদেশি সুয়োকাকে নিয়েই ব্যারেটোরদের বিরুদ্ধে স্ট্র্যাটেজি তৈরি করছেন আর্মান্দো। ইস্টবেঙ্গলের স্থানীয় ফুটবলারদের চোটের তালিকাও বেশ লম্বা। তবে চোট সারিয়ে দু’মাস পর দলে ফিরছেন ভাসুম। ফিট হয়ে অভিষেকও ফিরছেন দলে।
এই অবস্থায়, ফেড কাপের আগে ফুটবলারদের পুরো ফিট করে তুলতে ২২-২৬ ডিসেম্বর পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছেন আর্মান্দো। ছুটিটা তিনি ফুটবলারদের বাড়িতে বিশ্রামে থেকে চোট সারিয়ে ওঠার জন্যই দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। এমনিতে এই সময়টা লাল-হলুদের আই লিগ বা স্থানীয় লিগের কোনও খেলা নেই। চিডিদের কোচের যুক্তি, “ফুটবলাররা যন্ত্র নয়। ওদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন। এই ছুটিতে ফুটবলাররা নিজেদের চোট সারিয়ে ফিট হয়ে উঠতে পারবে।”
ফুটবলাররা অবশ্য মজা করে একে ক্রিসমাসের ছুটিই বলছেন!
জয় পেল ইউনাইটেড: পুলিশকে আটকে দিল ইউনাইটেড স্পোর্টসের বলদীপ। বুধবার বারাসতে বলদীপের জোড়া গোলে পুলিশ এসি-র বিরুদ্ধে ২-১ জিতল এলকো সাতোরির দল। পুলিশের হয়ে এক মাত্র গোলটি হেনরির। এ দিনের জয়ের ফলে কলকাতা লিগে আট ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে জিতল ইউনাইটেড। |
বৃহস্পতিবারে কলকাতা লিগ
ইস্টবেঙ্গল : ভবানীপুর (ইস্টবেঙ্গল, ২-০০)। |