বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে আই লিগের লড়াইয়ে ঢুকে পড়েছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু শহরে পা দিয়ে আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই লাল-হলুদ কোচ আর্মান্দো কোলাসোকে নামতে হচ্ছে কলকাতা লিগে। সেখানেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা তাঁর দলের।
বৃহস্পতিবার কলকাতা লিগে আর্মি একাদশের বদলে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ ভবানীপুর। আর্মি গেমস থাকায় এ দিনই ক্রীড়াসূচি বদল করল আইএফএ।
সোমবার শহরে ফিরে আর্মান্দো কোলাসো যদিও বলে দিলেন, “বেঙ্গালুরুতে জিতে আই লিগে আমরা কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাইনি। লিগ জয়ের লড়াইতে ঢুকে পড়েছি বলতে পারেন। এখনও অনেক পথ যেতে হবে।” আরও বলেন, “বেঙ্গালুরু ঘরের মাঠে হারেনি। আমরা সেই অঘটনটা ঘটিয়েছি। এতে দুটো সুবিধা। এক, ওদের আত্মবিশ্বাস ধাক্কা খাবে। দুই, লিগ জেতার জন্য আমাদের মোটিভেশন বাড়বে। কারণ, তিনটে ম্যাচ কম খেলেছি আমরা।”
কিন্তু কলকাতা লিগ? সদস্য, সমর্থক, কর্তারা যে সে দিকেও তাকিয়ে। ইস্টবেঙ্গল কোচ বলছেন, “আমার দল ট্রফি জিততেই মাঠে নামবে।” কিন্তু আই লিগের দ্বিতীয় পর্বে যখন বেঙ্গালুরু, গোয়ার দলগুলো চোট সারানো চনমনে ফুটবলারদের নিয়ে নামবে, তখন ঘরোয়া লিগ, ফেড কাপ, আইএফএ শিল্ডের পর চিডি-মোগাদের ফিটনেসে ঘাটতি পড়বে না তো? লাল-হলুদ কোচ মন্তব্য করতে না চাইলেও, ডেম্পোতে আর্মান্দোর সঙ্গে চারটি আই লিগ হাতে তোলা গোলকিপার অভিজিৎ মণ্ডল বলে দিলেন, “আর্মান্দো দারুণ কাজ করছেন ইস্টবেঙ্গলে। কিন্তু আই লিগের দ্বিতীয় পর্বে আমাদের চোটমুক্ত করে মাঠে রাখা ওঁর বড় চ্যালেঞ্জ। সেটা যদি আর্মান্দো জেতেন তা হলে আই লিগ ইস্টবেঙ্গলে আসতেই পারে।” দলের সিনিয়র অ্যালভিটোও বললেন, “বেঙ্গালুরু ম্যাচটা ভাইটাল ছিল। সেটা জেতায় আই লিগ এখন পুরো ওপেন। পাঁচে থাকা ইস্টবেঙ্গল সেটা জিততেই পারে।”
এগারো ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট ১৮। যার মধ্যে এগারো পয়েন্টই এসেছে আর্মান্দোর হাত ধরে। আর এই এগারো ম্যাচের মধ্যে সাতটিই ছিল অ্যাওয়ে (মোহনবাগান ম্যাচ ধরে)। লিগের দ্বিতীয় পর্বে পুণে, ডেম্পো এবং চার্চিল ম্যাচ অ্যাওয়ে। বাকি সব ম্যাচই ঘরের মাঠে। আই লিগ ঘরে তুলতে এই সুবিধা নিতে মরিয়া কোলাসো ও তার দল।
এ দিকে বেঙ্গালুরু ম্যাচে মাঠে সারিবদ্ধ হয়ে না নামায় ইস্টবেঙ্গলকে কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা করল ফেডারেশন। মাঠে ইট পড়ার জন্য আয়োজক বেঙ্গালুরু এফসি-কেও সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা করা হল। |