|
|
|
|
অশোকের অপসারণ চান অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি
১২ ডিসেম্বর |
অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের অপসারণ নিয়ে এবার দিল্লিতে জলঘোলা।
কেন্দ্রীয় সরকারেরই অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ইন্দিরা জয়সিং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে চিঠি লিখে পশ্চিমবঙ্গের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায়ের অপসারণ দাবি করেছেন। তিন পৃষ্ঠার চিঠিতে ইন্দিরার বক্তব্য, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির বিরুদ্ধে তাঁর ইনটার্ন হিসেবে কাজ করা এক যুবতীর সঙ্গে অবাঞ্ছিত আচরণের অভিযোগ উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির তদন্তকারী কমিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিয়েছে, প্রাথমিক সাক্ষ্যপ্রমাণ থেকে অভিযোগ সত্যি বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে। অশোককুমার নিজে যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেখানেও তিনি অভিযোগ খণ্ডন করতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে অশোককুমার এখন যে পদে রয়েছেন, সেই পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের পদে তাঁর থাকা উচিত নয়। যেহেতু অশোককুমার নিজে ইস্তফা দিচ্ছেন না, তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। এর আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি লিখে অশোককুমারের অপসারণের দাবি তুলেছিলেন।
কীভাবে আইন অনুযায়ী রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে কাউকে অপসারণ করা যেতে পারে, সে কথাও ইন্দিরা তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। সংবিধান থেকে এই অংশটি উদ্ধৃত করে ইন্দিরা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি কোনও রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে সরিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু সমস্যা হল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সুপারিশ ছাড়া রাষ্ট্রপতি নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। কাজেই যা করার, ইউপিএ-সরকারকেই করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর ইন্দিরার চিঠি খতিয়ে দেখছে। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রকেরও পরামর্শ নেওয়া হবে।
অশোককুমারের অপসারণের দাবি জানিয়ে দু’বার রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে প্রণবকে তাঁর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আজ ফের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেছেন মমতা। অশোককুমার সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, উনি যে উচ্চপদে আসীন, মানুষের কাছে তার আস্থা এবং বিশ্বাসের জায়গাটা অটুট রাখতে কড়া ব্যবস্থা প্রয়োজন। রাজ্য সরকারও প্রথমে মনে করছিল, অশোককুমার নিজে থেকেই ইস্তফা দেবেন। কিন্তু অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া সত্বেও তিনি সরে না দাঁড়ানোয় রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লেখা হয়।
অশোককুমারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওটার আগে তাঁর পাকিস্তান সফর নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্য সরকার। মমতার মতো লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজও অশোককুমারের পদত্যাগ দাবি করেছেন। কিন্তু আইনজীবী সোলি সোরাবজি, লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মতো কয়েকজন আবার অশোককুমারকে সমর্থন জানিয়েছেন।
|
পুরনো খবর: ইস্তফা কীসের, শেষ দেখে ছাড়ব: অশোক
|
|
|
|
|
|