|
|
|
|
ইস্তফার পথে কোতুলপুরের সৌমিত্র
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নদিয়ার শান্তিপুরের বিধায়ক অজয় দে-র পরে এ বার কংগ্রেস ছাড়তে চলেছেন বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বিধায়ক সৌমিত্র খান। অজয়বাবু বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সৌমিত্র জানান, দু’-তিন দিনের মধ্যেই তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন। বিধায়ক পদেও ইস্তফা দেবেন। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর চূড়ান্ত কথাবার্তা হয়ে গিয়েছে।
সৌমিত্র এ বারেই প্রথম বিধায়ক হয়েছিলেন। কিন্তু কেন দল ছাড়ছেন তা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, “কোতুলপুরের মানুষ চান আমি তৃণমূলে যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য জুড়ে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে সামিল হই।’’ তিনি জানান, বর্তমান সরকার বাঁকুড়ার ১৩টি ব্লকে জল সরবরাহ, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন-সহ নানা উন্নয়ন-প্রকল্প শুরু করেছে। সেই কাজের শরিক হতে শাসক দলের সঙ্গে থাকাই বাঞ্ছনীয় বলে তিনি মনে করেন। পাশাপাশি প্রদেশ ও দিল্লির কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁদের মতো স্থানীয় নেতাদের অবজ্ঞা করেন বলে সৌমিত্রর অভিযোগ। তাঁর বক্তব্য, “বাঁকুড়া জেলা কংগ্রেসে আজ ৬ মাস ধরে সভাপতি নেই। আমাদের জেলার নেতা-কর্মীদের কথায় ওঁরা কর্ণপাত করেন না। আন্দোলন করার জন্য দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের যে সহযোগিতা দরকার তা আমরা পাই না। ফলে কংগ্রেসে থেকে কী লাভ!”
সৌমিত্রর দল ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানাজানি হওয়ার পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “সৌমিত্র কী করবে জানি না। আমাকে তো বলেছে, ও যাবে না। এর আগেও ও দল ছাড়ার কথা বলেছিল। না আঁচালে বিশ্বাস নেই।”
অজয়বাবুর আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মালদহের ইংলিশবাজারের বিধায়ক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। পুনর্নির্বাচনে কৃষ্ণেন্দুবাবু জিতলেও, হুমায়ুন পারেননি। দল ভাঙানোর জন্য তৃণমূল নেতৃত্বকেই দুষেছেন প্রদীপবাবু।
|
|
|
|
|
|