|
|
|
|
কবে ক্ষতিপূরণ শিলাদিত্যকে, প্রশ্ন হাইকোর্টের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা ও ঝাড়গ্রাম |
মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশ মেনে শিলাদিত্য চৌধুরীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অভিমত জানতে চাইল হাইকোর্ট। ওই সুপারিশ মেনে সরকার দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় গত ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন শিলাদিত্য।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি আইনজীবীকে বলেন, “আগামী সপ্তাহে ফের মামলার শুনানি হবে। তার মধ্যে যদি রাজ্য ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেয়, এই মামলা মূল্যহীন হয়ে পড়বে। কিন্তু না দিলে সরকারকে নির্দিষ্ট করে জানাতে হবে, কেন তারা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না কিংবা দিলে কত দিনে দেবে।” এ দিন হাইকোর্টে এসে শিলাদিত্য বলেন, “অসম্মান ও অপমানের জ্বালা থেকে মুক্তি পেতেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য যত দূর যেতে হয়, যাব। প্রয়োজনে নবান্ন গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইব কেন আমার সঙ্গে এমনটা হচ্ছে।”
২০১২ সালের ৮ অগস্ট পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলপাহাড়িতে সভা করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা চলাকালীন সারের দাম নিয়ে প্রশ্ন করায় আঙুল উঁচিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিনপুররের লোয়াগা গ্রামের বাসিন্দা শিলাদিত্যকে ‘মাওবাদী’ হিসেবে চিহ্নিত করেন। পুলিশ সভাস্থল থেকেই তাঁকে আটক করে। খানিক বাদে ছাড়া পেলেও দু’দিন পরে, ১০ অগস্ট গ্রাম থেকে শিলাদিত্যকে ফের ধরে আনে বিনপুর থানার পুলিশ। চলে জিজ্ঞাসাবাদ। মুখ্যমন্ত্রীর সভা চলাকালীন ‘হাই সিকিউরিটি জোন’-এ অনধিকার প্রবেশের অভিযোগে টানা ১৪ দিন জেল খাটেন শিলাদিত্য। এ নিয়ে শোরগোল পড়ে রাজ্যজুড়ে। পরে শিলাদিত্য জামিন পেলেও মামলা থেকে অব্যাহতি পাননি। ইতিমধ্যে আদালতে মামলার চার্জশিটও জমা দিয়েছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে জানিয়ে গত ১৫ জুলাই শিলাদিত্যকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুপারিশ করে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। কিন্তু ওই নির্দেশের পর প্রায় পাঁচ মাস কেটে গেলেও রাজ্য তাতে সাড়া দেয়নি।
|
পুরনো খবর: ‘প্রতিবাদের কণ্ঠ’ শিলাদিত্যকে সেলাম জনতার |
|
|
|
|
|