মহম্মদ শামিকে দুরন্ত দেখাচ্ছে। ইশান্ত শর্মা অবশেষে ধারাবাহিকতার খোঁজ পেয়েছেন। যার জন্যই হয়তো ওয়ান্ডারার্স আর কিংসমিড ওয়ান ডে-তে বিশ্রী হার আর সেঞ্চুরিয়নে পরিত্যক্ত ম্যাচেও দক্ষিণ আফ্রিকার তিনশোর বেশি রানের পরেও ইশান্তের দাবি, ভারত একদিনের সিরিজ ০-২ হেরেছে বটে, কিন্তু তার মধ্য থেকেও কিছু ইতিবাচক প্রাপ্তি ঘটেছে টিম ইন্ডিয়া-র। এহেন আবহে কালিস-স্টেইনদের দেশের পেস আর বাউন্সি পিচে ভারতীয় পেস বোলিংয়ের শক্তি বাড়াতে এসে পড়েছেন দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার জাহির খান।
গত রাতে সেঞ্চুরিয়নেই ওয়ান ডে-তে শততম উইকেট পূর্ণ করেছেন ইশান্ত (৭০ ম্যাচে)। শামি তো তিন ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে সিরিজের সফলতম ভারতীয় বোলার। আর ৮৮ টেস্টের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন জাহির এসে পড়ায় শুক্রবারই বেনোনিতে এই সফরের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রণী একাদশের বিরুদ্ধে ভারতীয় দল সম্ভবত এই তিন পেসার নিয়ে নামবে। প্রথম টেস্ট আগামী বুধবার থেকে জোহানেসবার্গে। তার আগে বৃহস্পতিবারই ছিল যুবরাজ সিংহের বত্রিশতম জন্মদিন। যদিও টেস্ট দলে না থাকায় যুবরাজের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষ। তবে বেনোনিতে মুরলী বিজয়, চেতেশ্বর পূজারাদের পরীক্ষা দক্ষিণ আফ্রিকার পিচের পেস আর বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার।
|
জাহিরও ঠিক সেটাই বলছেন। বেনোনিতে পৌঁছে তার মন্তব্য, “সিম বোলারের জন্য সবচেয়ে জরুরি ঠিক লাইন-লেংথে বল করাটা। আর দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটের চরিত্র হল, এখানে পিচে বল ঠুকে করতে হয়। যাকে বলে ‘হিট দ্য ডেক’ উইকেট। ফলে এখানকার উইকেটে পেসারদের সফল হতে গেলে বোলিংয়ে কিছুটা অ্যাডজাস্টমেন্টের দরকার। আর সব সময় আত্মবিশ্বাসী থাকতে হবে।” টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক গ্রেম স্মিথকে ন’বারে ছ’বার আউট করার কৃতিত্ব আছে জাহিরের। এ বার কী হবে? প্রশ্ন হলে জাহিরের রসিকতা, “আমাকে শুধু বল হাতে একবার মাঠে নামতে দিন!” তার পরে তাঁর সিরিয়াস মন্তব্য, “গ্রেম দারুণ ব্যাটসম্যান। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন আপটাই দারুণ। আমাদের পেসারদের কাছে জরুরি, সমবেত ভাবে নতুন বলে গোড়ার দিকে ওদের যত বেশি সম্ভব উইকেট তোলা।”
টেস্টে জাহিরের সঙ্গে জুটিতে যাঁকে সম্ভবত দেখা যাবে, সেই ইশান্তের মন্ত্রও আত্মবিশ্বাস। ইশান্ত বলছেন, “দু’টো দলের প্রত্যেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। সে জন্য তাদের কাছে যতটা ফর্ম-টেকনিক, তার চেয়ে বেশি জরুরি হল মানসিক গঠনটা। আমাদের চিন্তাভাবনাগুলো যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে আর আত্মবিশ্বাস না হারাই, তা হলে মনে হয় না ওয়ান ডে সিরিজ হারটা বড় ধাক্কা হবে। এর পর আমাদের কী করতে হবে সেটা যদি আমাদের জানা থাকে, তা হলে বলব একদিনের সিরিজে হারের মধ্যেও আমাদের কিছু ইতিবাচক প্রাপ্তি ঘটেছে। যেগুলো টেস্ট সিরিজে ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পারলে মনে হয়, আমরা ভাল ফল করতে পারব।”
তবে সদ্যসমাপ্ত ওয়ান ডে সিরিজ ভারতের বিরাট কোহলির মাথা থেকে একদিনের ক্রিকেটে এক নম্বর ব্যাটসম্যানের মুকুট কেড়ে নিয়েছে। শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডে’ভিলিয়ার্স। দু’জনের রেটিং পয়েন্টের তফাত ১৩। |
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে |
জাহির খান
টেস্ট
৬, ওভার
২২৫.২
রান
৭৪৮,
উইকেট ২৩
সেরা ৪-৬২ (২০০৭, কেপটাউন) |
ইশান্ত শর্মা
টেস্ট
৩, ওভার ৯২.৪
রান ৩৩৭,
উইকেট ৭
সেরা ২-৭৭ (২০১১, কেপটাউন) |
|
|