আরামবাগে দায়ের হওয়া মামলাটি থেকে জামিন পেলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। বৃহস্পতিবার আরামবাগ আদালতে দ্বিতীয় বার তোলা হয় তাঁকে। বিচারক ১০ হাজার টাকার বেল বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। সুদীপ্ত সেনের আইনজীবী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ নির্দিষ্ট সময় চার্জশিট দিতে না পারায় বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।” তবে
পুলিশ জানায়, বন্ধ হয়ে যাওয়া সারদা লগ্নিসংস্থার আরামবাগ শাখা অফিসের আনন্দ অধিকারী নামে এক এজেন্ট তাঁর গ্রাহকরা যাতে টাকা ফেরত পান, সেই মর্মে গত এপ্রিল মাসের ২০ তারিখে আরামবাগ থানায় লিখিত আর্জি জানান।
২২ তারিখে পুলিশ সংস্থার আরামবাগ শাখার ম্যানেজার শেখ মনসুর আলিকে গ্রেফতার করে। তালা বন্ধ অফিস খুলে কাগজপত্র কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করা হয়। |
ধৃত ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায়, অরবিন্দ কুমার চৌহান, মনোজকুমার নাগেন এবং অরবিন্দ দাস ওরফে বুম্বার নামেও মামলা দায়ের হয়।
প্রথম দফার শুনানি হয় গত ২১ জুন। ওই দিন আদালতে তোলা হয় অরবিন্দকুমার চৌহান, মনোজকুমার নাগেন এবং অরবিন্দ দাসকে। সেই শুনানিতে তাঁদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। দ্বিতীয় দফার শুনানি হয় ২৭ জুলাই। ওই দিন সুদীপ্ত সেনের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
দেবযানী-সহ অন্যেরা জামিনের আবেদন করেছিলেন। তা খারিজ করেন বিচারক। এ দিন দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ সুদীপ্ত সেনকে আরামবাগ আদালতে আনা হয়।
একটি মামলায় জামিন পেলেও এখনও আরও বেশ কিছু মামলা ঝুলছে সারদা কর্তার বিরুদ্ধে। এ দিন আরামবাগ থেকে তাঁকে ফের কলকাতায় আলিপুর জেলেই ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়।
|