হাজিরায় দেরি, শো-কজ চার আধিকারিককে
হুগলির দেবানন্দপুর পঞ্চায়েতে বৃহস্পতিবার সকালে ১০টা বেজে গেলেও বড় তালা ঝুলছিল। সরকারি কাজে ওই পথে যেতে গিয়েই বিষয়টি দৃষ্টিকটূ লাগে মহকুমাশাসক (সদর) সুধীর সরকারের। ঠাঁয় ১১টা পর্যন্ত তাঁকে সেখানে অপেক্ষা করতে হয়। শেষ পর্যন্ত পঞ্চায়েতের চার সরকারি আধিকারিককে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন তিন দিনের মধ্যে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, বারে বারেই জেলার পঞ্চায়েতগুলিকে সতর্ক করা হচ্ছিল, নির্দিষ্ট সময়ে পঞ্চায়েত অফিস খোলা এবং মানুষের অভাব-অভিযোগ জেনে ব্যবস্থা নেওয়ার। কিন্তু প্রশাসনের কর্তাদের খেদ, বারে বারেই তাঁরা অভিযোগ পাচ্ছিলেন পঞ্চায়েত স্তরে সেই ভাবে কাজকর্ম হচ্ছে না। সরাসরি তাঁদের জেলা সদর পর্যন্ত পাড়ি দিতে হচ্ছিল। এ দিন সরকারি কাজে যাওয়ার পথে মহকুমাশাসক বিষয়টি দেখেন। পঞ্চায়েতের কাজে আসা সাধারণ মানুষের মতো তাঁকেও পঞ্চায়েত খোলার অপেক্ষায় থাকতে হয়। তাতে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন তিনি। শেষ পর্যন্ত তিনি পঞ্চায়েতের সচিব, এক্সিকিউটিভ অফিসার, জব অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং নির্মাণ সহায়ককে দেরি করে আসার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তা বলেন, “সাধারণ মানুষের হয়রানি রুখতে প্রশাসন কঠোর হবে। ওই নির্দিষ্ট পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে সন্তোষজনক জবাব না পেলে বিভাগীয় তদন্ত হবে।”
পঞ্চায়েত প্রধান রুমা রাইপালের সঙ্গে বার বার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। যদিও চুঁচুড়ার বিধায়ক বলেন,“প্রশাসনের কর্তারা ঠিক কাজ করেছেন। কোনও দিনই ওই পঞ্চায়েত সাড়ে ১১টা-১২টার আগে খোলে না। সাধারণ মানুষ হয়রান হন।”





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.