নিখুঁত অপারেশন সেরে হিরে নিয়ে বিমানে ভিন্ রাজ্যে চম্পট দিয়েছিল চোর। শেষ রক্ষা হল না। পুলিশ বলছে, চুরির আগেই দুই অভিযুক্তকে দেখে ফেলেছিলেন এক মহিলা। সেই সূত্রেই ভবানীপুর হিরে চুরির কিনারা করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, হিরে চুরির অভিযোগে বুধবার মুম্বই থেকে জিগনেশ ভিঞ্জি নামে এক যুবক গ্রেফতার হন। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হল মণীশ নামে এক যুবক। তিনি অভিযোগকারী গুজরাতের হিরে বিক্রয়কারী সংস্থার কর্মী সন্দীপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
পুলিশ সূত্রের খবর, ৫ ডিসেম্বর রাত থেকে ৬ ডিসেম্বর সকালের মধ্যে ভবানীপুরের একটি বহুতলের ফ্ল্যাট থেকে হিরে ভর্তি প্যাকেট চুরি যায়। ওই ফ্ল্যাটটিতে ভাড়া থাকেন সন্দীপ। ৫ ডিসেম্বর রাতে তিনি পাড়ারই অন্য একটি বাড়িতে মণীশ-সহ বন্ধুদের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন। ৬ ডিসেম্বর বাড়ি ফিরে সন্দীপ দেখেন তাঁর ঘর থেকে প্রায় সওয়া ২ কোটি টাকার হিরে উধাও। |
এই চুরিতে পরিচিত কেউ জড়িত বলে প্রথম থেকেই অনুমান ছিল গোয়েন্দাদের। মণীশ প্রথম থেকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছিল বলে পুলিশ জানায়। গোয়েন্দারা জানান, ঘটনার দু’দিন আগে মণীশ ও জিগনেশ চুরির ছক কষে। ৪ ডিসেম্বর বিমানে কলকাতায় পৌঁছয় জিগনেশ। চক্রবেড়িয়া রোডে এক অতিথিশালায় তার থাকার ব্যবস্থা করে মণীশ। তদন্তকারীদের দাবি, ওই রাতেই জিগনেশকে সন্দীপের ফ্ল্যাট দেখাতে নিয়ে যায় মণীশ। তখনই ওই মহিলা তাদের দেখেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ সে কথা জানতে পারে। সেই সূত্র ধরেই জিগনেশকে ধরা হয়। জেরায় পুলিশ জানতে পারে, ৫ ডিসেম্বর রাতে সন্দীপ বাড়ি থাকবেন না, এ কথা মণীশ তাকে বলেছিল। মণীশের পরামর্শেই ৬ ডিসেম্বর নকল চাবি দিয়ে দরজা খুলে চুরি করে সকালেই হিরে নিয়ে মুম্বই পাড়ি দেয় সে। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ৫ ডিসেম্বর রাতে বাড়ির বাইরে কাটানোর জন্য মণীশই সন্দীপকে উৎসাহিত করেন।
কেন হঠাৎ চুরির ছক মণীশের?
গোয়েন্দারা জানান, সন্দীপের সংস্থা থেকে মণীশকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। প্রতিশোধ নিতেই সে এই চুরির পরিকল্পনা করে বলে লালবাজারের দাবি।
|