ভিড়ে ঠাসা কোর্ট চত্বর। তার মধ্যেই ‘ধর ধর, ওই চোর!’ বলে দৌড়চ্ছে খাকি উর্দি। আর সামনে উর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে এক যুবক। শেষমেশ তার পথ আটকে দাঁড়াল গ্রিন পুলিশ। ‘চোর’ ফের ফিরে গেল ‘কোতোয়াল’-এর হাতে। আশপাশের জনতা ততক্ষণে হতবাক।
এ অবশ্য কোনও সিনেমার দৃশ্য নয়! বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠিক এমনটাই ঘটেছে আলিপুর জাজেস কোর্টে।
পুলিশ জানিয়েছে, একটি চুরির ঘটনায় বুধবার শেখ রাজা নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে রবীন্দ্রনগর থানার পুলিশ। এ দিন জাজেস কোর্টে ওই মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। পুলিশ জানায়, আদালত চত্বরেই এক কনস্টেবলকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ওই অভিযুক্ত। তবে রাস্তায় কর্তব্যরত এক গ্রিন পুলিশকর্মী বিষয়টি আঁচ করতে পেরে রাজাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
আদালত চত্বরে এ দিনের কাণ্ড দেখে প্রথমে হকচকিয়ে যান অনেকেই। তবে জাজেস কোর্ট চত্বরে পুলিশের নাগাল থেকে আসামি পালানোর চেষ্টা এই প্রথম নয়। |
গত ১ অক্টোবরও একটি মামলার শুনানির দিন পুলিশের উপর হামলা করে পালাতে চেষ্টা করে এক আসামি। কর্তব্যরত এক কনস্টেবলের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দিয়ে দৌড় দিয়েছিল সে।
কী হয়েছিল বৃহস্পতিবার?
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে এ দিন দুপুর ২টোর মধ্যে জাজেস কোর্টে তোলার কথা ছিল। সেই মতো প্রিজন ভ্যানে করে তাকে নিয়ে আসা হয় কোর্ট চত্বরে। রাজাকে কয়েক জন কনস্টেবল-সহ প্রিজন ভ্যানেই বসিয়ে রেখে রবীন্দ্রনগর থানার এক অফিসার মামলার নথিপত্র নিয়ে আদালতে ঢোকেন। সেই সময়েই শৌচাগারে যাওয়ার বাহানায় প্রিজন ভ্যান থেকে নামে রাজা। অন্য কনস্টেবলরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ পাশের কনস্টেবলকে ধাক্কা মেরে এক ছুট লাগায় সে। সম্বিৎ ফিরে পেতেই তাকে ধাওয়া করেন ওই কনস্টেবলরা।
শেষে কর্তব্যরত এক গ্রিন পুলিশ রাজার পথ আটকান। আর এর সঙ্গে সঙ্গেই বাকি পুলিশেরা এসে ধরে ফেলে তাকে। তবে এই ঘটনায় রাত পর্যন্ত আলিপুর থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। |