ভবানীপুরের একটি বহুতল থেকে হিরে উধাওয়ের ঘটনায় রবিবার রাত পর্যন্ত অন্ধকারে পুলিশ। তদন্তে নেমে কয়েক জন যুবককে আটক করলেও ঘটনাটি চুরি নাকি হিরে আত্মসাত্ করে গল্প ফাঁদা হয়েছে, রবিবার রাত পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। আটক যুবকদের কথায় যে প্রচুর অসঙ্গতি রয়েছে, এ দিনও তা মেনে নিয়েছেন তদন্তকারীরা।
শনিবার সুরাতের একটি সংস্থার পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়, মহেন্দ্র রায় রোডে একটি বহুতল আবাসনের ফ্ল্যাটের দোতলায় ভাড়া থাকেন তাঁদের সংস্থার কর্মী সন্দীপ ভাই। পুলিশ জানিয়েছে, গুজরাতের ওই সংস্থার কয়েক কোটি টাকার হিরে ২১ নভেম্বর সন্দীপের কাছে পাঠানো হয় বিক্রির জন্য। সন্দীপ বৃহস্পতিবার হিরেগুলি বড়বাজারের এক ব্যবসায়ীর কাছে নিয়ে যান। সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক বন্ধু মণীশ। পুলিশের কাছে সন্দীপ দাবি করেন, ওই ব্যবসায়ী হিরে না নেওয়ায় রাতে তিনি ও মণীশ ফিরে আসেন। হিরেগুলি তোষকের তলায় রেখে পাড়ায় অন্য এক বন্ধু হিতেশের বাড়িতে রাত কাটান। কিন্তু শুক্রবার ফেরার আগেই মালিক ফোন করে জানান, তাঁদের ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। তাঁরা ফিরে দেখেন, তালা ভাঙা। উধাও হিরে। প্রাথমিক তদন্তে এই ঘটনায় গোয়েন্দাদের সন্দেহের তির সন্দীপ এবং তাঁর পরিচিতদের দিকেই। কারণ হিসেবে গোয়েন্দারা বলছেন, সন্দীপ তাঁদের কাছে দাবি করেছেন, ওই রাতে তিনি যে ফ্ল্যাটে থাকবেন না, তা তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েক জন ছাড়া কেউ জানত না। তদন্তকারীদের দাবি, ফ্ল্যাটের কোথায় হিরে রাখা আছে, তা দুষ্কৃতীরা জানত। তাই ফ্ল্যাটের অন্য কোথাও খোঁজাখুঁজি করেনি তারা। গোয়েন্দাদের আরও সন্দেহ, ওই ফ্ল্যাটের দরজা খোলার জন্য দুষ্কৃতীরা ‘ডুপ্লিকেট’ চাবি ব্যবহার করেছিল। অথবা ‘মাস্টার কি’ ব্যবহার করেছিল তালা খোলার জন্য। সন্দীপকেও সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখছেন না তদন্তকারীরা। |