আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানালেন রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। সোমবার সিপিএমের উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে রায়গঞ্জে আসেন বিমানবাবু। এ দিন রায়গঞ্জের ছন্দম মঞ্চে দলের বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার আগে সিপিএমের জেলা দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিমানবাবু। প্রথমেই তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস, বিজেপি ও তৃণমূলকে বাদ দিয়ে তৃতীয় ফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে লড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে নির্বাচনের পরেও ফ্রন্ট গঠন করা হতে পারে।”
রাজ্য বিধানসভা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিমানবাবু বলেন, “বিধানসভার ৭৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান হলেও রাজ্য সরকার বিধানসভাকে মর্যাদা দিতে পারছে না। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া তো দূরের কথা তাঁদের কিছু বলতেই দেন না। |
বিরোধীরা কিছু বলতে গেলেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের চুপ করে বসিয়ে দেন। এই মুখ্যমন্ত্রীই একদিন বলেছিলেন বিধানসভা তো বিরোধীদের জন্যই। তাছাড়া এখন তো বিধানসভার অধিবেশন আগের চাইতে অনেক কম হচ্ছে। রাজ্য সরকার চায় না বিধানসভা চলুক।”
রাজ্যের গণতন্ত্রের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিমানবাবুর অভিযোগ, “তৃণমূল ও রাজ্য সরকারের সৌজন্যে বর্তমানে রাজ্যে গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই। সম্প্রতি, সরকারি সহযোগিতায় তৃণমূল ভয় দেখিয়ে ও গুন্ডামি রাজ কায়েম করে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা দখল করেছে। রবিবার রাজ্যের এক প্রাক্তন বর্ষীয়ান মন্ত্রীকে মারধর করে তৃণমূল গণতন্ত্রের প্রমাণ দিয়েছে।”
সারদা ও এসজেডিএ কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত দাবি করে বিমানবাবু বলেন, “সিবিআই তদন্ত হলে শাসক দলের অনেক নেতা মন্ত্রী ফেঁসে যাবেন বলে আশঙ্কা করেই রাজ্য সরকার সিবিআই তদন্তের পক্ষে মত দিচ্ছে না।” জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্য বলেন, “আমরা বিমানবাবুদের কোনও কথার গুরুত্ব দিচ্ছি না। কারণ, গত তিন দশকে সিপিএম রাজ্যকে অনুন্নয়নের দিক থেকে প্রথম সারিতে নিয়ে যাওয়ায় মানুষ এখন আর সিপিএমকে সমর্থন করছেন না। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে বিমানবাবু অপপ্রচার শুরু করেছেন। আগামী লোকসভা নির্বাচনে মানুষ সিপিএমকে হোয়াইটওয়াশ করে দেবেন।” |