দুষ্কৃতীর হাত থেকে এক যুবককে বাঁচাতে গিয়ে বছর ন’য়েকের নাতনির চোখের সামনে খুন হতে হল এক প্রৌঢ়াকে। নিহত বৃদ্ধা ক্ষেপি ঘোষ (৬১) চাপড়ার মামুনগাছা এলাকার বাসিন্দা। অবশ্য দুষ্কৃতীর কোপ থেকে রেহাই পাননি চাপড়ার খ্রিস্টান পাড়ার বাসিন্দা বছর আটাশের যুবক প্রসেনজিৎ মণ্ডলও। তাঁকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে ওই দুষ্কৃতী। সোমবার সন্ধ্যায় চাপড়ার মামুনগাছা এলাকার ঘটনা। জেলা পুলিশের ডিএসপি (সদর) দিব্যজ্যোতি দাস বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তের পর মনে হচ্ছে, ওই বৃদ্ধা দুষ্কৃতীকে চিনতে পেরেছিলেন। তাই প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁকে খুন করা হয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ওই বৃদ্ধার নাতনি রুপসা বাগের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।’’
পুলিশ ও মৃতার পারিবারিক সূত্রের খবর, এ দিন সন্ধ্যায় ওই বৃদ্ধা তাঁর নাতনিকে সঙ্গে নিয়ে পাশের গ্রাম মাজদিয়ায় ঠাকুরতলায় গিয়েছিলেন। মেঠো রাস্তা ধরে ফেরার পথে ওই বৃদ্ধা দেখতে পান, রাস্তার পাশে এক দুষ্কৃতী এক যুবককে কোপাচ্ছে। তারপরই চিৎকার করে ওই খুনে বাধা দিতে যান ক্ষেপিদেবী। তখন ওই দুষ্কৃতী যুবককে খুনের পাশাপাশি মারে ওই প্রৌঢ়াকেও। মারধর করা হয় বৃদ্ধার নাতনিকেও।
এরপর বৃদ্ধার নাতনি ছুটে এসে বাড়ির লোক ও প্রতিবেশীদের সমস্ত ঘটনা জানায়। তারপর পড়শিরা গিয়ে দেখেন রাস্তার ধারে পড়ে রয়ে মুণ্ডুহীন ক্ষেপি ঘোষের দেহ। অদূরের একটি পুকুর থেকে গলাকাটা প্রসেনজিতেরও দেহ মেলে। মৃতার ছেলে বিজয় বাগ বলেন, “মেয়ের কথানুযায়ী ওই যুবককে বাঁচানোর চিৎকার করাতেই মাকে খুন হতে হল। আমার মেয়ে কোনওক্রমে পালিয়ে বেঁচেছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসেনজিতের বাবা বাজারে কলা বিক্রি করেন। প্রসেনজিতের সঙ্গে ওই দুষ্কৃতীর কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। |