নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁকরাইল |
ভুটভুটি আসতেই জুতো খুলে হাতে নিয়ে কাদা ডিঙিয়ে দৌড়লেন সকলে। কারও কাদায় পা বসে যাচ্ছে, কারও বা জামাকাপড় কাদার ছিটে লেগে একাকার। একটি বাচ্চা দৌড়তে গেল পড়েই গেল কাদায়। উঠে আবার কোনওরকমে ভুটভুটিতে চড়ে বসল সে।
এটাই রোজকার দৃশ্য সাঁকরাইলের মানিকপুর খেয়াঘাটে। খেয়াঘাটের পাশেই রয়েছে ডেল্টা জুটমিল এবং বেলভাটিয়া জুটমিল। খেয়া পেরিয়ে বহু কর্মীই এখানে কাজ করতে আসেন। রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও। নদীর উল্টো দিকে আকড়াতেও রয়েছে বজাজ জুটমিল এবং ক্যালিডোনিয়ান জুটমিল। মানিকপুর থেকেও বহু মানুষ ওই সমস্ত কারখানায় কাজ করতে যান। শিয়ালদহ শাখার বজবজ স্টেশনেও যাওয়া যায় ঘাট পেরিয়ে। অথচ, সারা বছরই কাদা পেরিয়েই যাতায়াত করতে হয় মানুষজনকে। কারণ, দিনে বহুবার এই ঘাট দিয়ে ভুটভুটি চলাচল করলেও কোনও জেটি তৈরি হয়নি। অথচ, উল্টো দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার আকড়া ঘাটে রয়েছে জেটি। বহু দিন ধরে বিভিন্ন সময়ে পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের কাছে দাবি জানালেও পাকা জেটি তৈরি হয়নি। এমনকী, খেয়াঘাটে পর্যাপ্ত আলোরও ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই। ফলে রাতবিরেতে যাতায়াত কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে। তবুও রাত ১০টা পর্যন্ত ভুটভুটি যাতায়াত করে এই ঘাটে। |
শেষ হবে কবে...। সারা বছরই এই দৃশ্য দেখা যায় খেয়াঘাটে। ছবি তুলেছেন রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়। |
খেয়াঘাটটি মানিকপুর পঞ্চায়েতের অধীনে। প্রধান বিজেপির মুকেশ কুমার সিংহ বলেন, “আগের পঞ্চায়েত থেকে জেটি তৈরির ক্ষেত্রে সে রকম ব্যবস্থা নেয়নি। সে সময়ে ইঞ্জিনিয়ারেরা এসে পরীক্ষা করলেও স্থানাভাবে কাজ শুরু করা যায়নি। তবে এ ব্যাপারে শীঘ্রই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অন্য দিকে, হাওড়া জেলা পরিষদের পূর্ত ও সড়ক কর্মাধ্যক্ষ কল্যাণেন্দু ঘোষ বলেন, “এ বিষয়ে এখনও সে ভাবে ভাবনাচিন্তা করা যায়নি। তবে, স্থানীয় লোকজন যদি মিলিত ভাবে আবেদন জানান অবশ্যই নতুন উদ্যোগ করা হবে।” |