খানাখন্দে ভরা রাস্তা রাজ্য সড়ক রামপুরহাট-পারুলিয়া। ফলে মোরাম ও পাথরের ধুলো দূষণে জেরবার এলাকাবাসী। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার অবরোধ করা থেকে শুরু করে প্রশাসনের সর্বস্তরে আবেদনও করেছেন বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাই এ বার পথ অবরোধ করলেন এলাকার ছাত্ররা। সোমবার রামপুরহাট-বিষ্ণুপুর-পারুলিয়া রাস্তার উপর মাড়গ্রামের ধুলফেলা মোড়ে অবরোধ হয়। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবরোধ চলে। পাশাপাশি বিক্ষোভকারীরা মাড়গ্রাম থানার পুলিশের হাতে তাঁদের দাবির বিষয়ে যাবতীয় কাগজপত্র তুলে দেন।
এই রাস্তার উপর রামপুরহাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির প্রশাসনিক ভবন, মাড়গ্রাম থানা, ব্লক ভুমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের অফিস, বিদ্যুৎ দফতরের মাড়গ্রাম গ্রাহক পরিসেবা কেন্দ্র, স্কুল পরিদর্শকের অফিস, মাড়গ্রাম১ ও মাড়গ্রাম২ পঞ্চায়েত, বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েত কার্যালয়, রামপুরহাট ২ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র-সহ আরও অনেক অফিস পড়ে। বিক্ষোভকারী আলম শেখ, খন্দেকর আরিফ মহম্মদ, সৈয়দ গোলাম ইয়াজদানি, রনি মণ্ডলদের ক্ষোভ, “এই রাস্তা এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্বেও প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হন স্কুল-কজেলের পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই। সমস্যা আরও বাড়ে হাসপাতালে কোনও রোগীকে নিয়ে যাওয়ার সময়। ধুলো দূষণের কারণে মানুষ রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।” |
মাড়গ্রাম ১ পঞ্চায়েতের প্রধান, কংগ্রেসের মহম্মদ সুজাউদ্দিন বলেন, “এ বছরই ফেব্রুয়ারি মাসে এলাকার মানুষ রাস্তা সংস্কারের জন্য অবরোধ করেছিলেন। তখন পূর্ত দফতর (সড়ক) প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু তারা সেই প্রতিশ্রুতি রাখেনি। ফলে রাস্তাটি দিন দিন আরও বেহাল হয়ে পড়ছে।” রামপুরহাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, কংগ্রেসের দৌলুতুন্নেষা বলেন, “রাস্তাটির বেহাল অবস্থার বিষয়ে জেলাপরিষদে একাধিকবার জানিয়েছি। কিন্তু এখনও সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।”
রাস্তা খারাপ থাকার কারণে সমস্যা হচ্ছে, সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রামপুরহাট ২ ব্লকের বিডিও অনির্বাণ সাহু। তিনি বলেন, “আমাকে প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে যে বৈঠক হয়, সেখানে জেলাশাসক, মহকুমাশাসক, পূর্ত দফতরের ( সড়ক ) আধিকারিকেরা উপস্থিত থাকেন। ওই সব বৈঠকে একাধিকবার রাস্তাটির সংস্কারের জন্য বলা হয়েছে। তবে যতদূর জানি, এই রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার মেয়াদ শেষ হয়নি। পুনরায় সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্প ব্যয় পাঠানো হয়েছে। এখনও তার অনুমোদন মেলেনি।” রাস্তাটি পূর্ত দফতরের (সড়ক) মল্লারপুর বিভাগের অধীন। ওই বিভাগের সহকারী বাস্তুকার মহম্মদ মসিবুল হক বলেন, “অবশ্যই রাস্তাটি সংস্কারের প্রয়োজন আছে। আমরা একটি প্রকল্প ব্যয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তার অনুমোদন মেলেনি। তার আগে কতটা কী করা যায় দেখা দেখছি।” |