নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
রয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাস্তা। প্রতিটি রাস্তায় রয়েছে আলোও। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলেই নর্দমার নোংরা, জমা জল উপচে ভাসিয়ে দেয় এলাকার বাড়ি-ঘর। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিয়মিত সাফাই করা হয় না ওই নর্দমা। তাই দিনের পর দিন দুর্গাপুর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে একই থাকছে এই ছবি। এই পরিস্থিতিতে নর্দমাটি ঠিক মতো পরিষ্কার করা হোক, এমনই দাবি করেছেন বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিড়িঙ্গি লাগোয়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডটি বেশ জনবহুল। এই ওয়ার্ডেই থাকেন দুর্গাপুরের বিধায়ক তথা মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, ওই ওয়ার্ডের বিদ্যাসাগর পল্লির পাশ দিয়ে জোড়াপুকুর রাজমহল রোড ধরে দুর্গাপুর থেকে একটি বড় নর্দমা এসেছে। অভিযোগ, একটু বৃষ্টি হলেই ওই নর্দমার জল উপচে কাছাকাছি বাড়িতে ঢুকে পড়ে। জল দাঁড়িয়ে যায় আশপাশের দোকানেও। ভারী বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। তখন সরু নর্দমা আর রাস্তাকে আলাদা করে চেনার উপায় থাকে না। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নর্দমাটি জোড়াপুকুরের কাছে প্রায় তিন ফুট চওড়া হলেও একটু পেরিয়ে গিয়েই তার চওড়া কমে এক থেকে দেড় ফুটে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। |
এই আঢাকা নর্দমা নিয়েই সমস্যা। —নিজস্ব চিত্র।
|
এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছেন, নর্দমা সঠিক ভাবে পরিষ্কার করা হোক। পুরসভার তরফে পরিকাঠামোগত ত্রুটিগুলি ঠিক করার ব্যবস্থা করা হোক। তাহলে সমস্যার সুরাহা হবে। বিদ্যাসাগর পল্লির বাসিন্দা রেনুকা রায়ের কথায়, “কয়েকদিন আগে বৃষ্টির ফলে আমার বাড়িতে নর্দমার নোংরা জল ঢুকে গিয়েছিল। ভাসছিল ঘরের খাট। জল নামতে প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় লেগে গিয়েছিল।” ওই এলাকায় সেলুন রয়েছে ষষ্ঠী প্রামাণিকের। রেনুকাদেবীর মতো একই সমস্যায় পড়েছিলেন তিনিও। ষষ্ঠীবাবু বলেন, “নর্দমাটির উল্টো দিকে আমার দোকান। একটু বৃষ্টি হলেই জল দোকানে ঢুকে যায়। জলের উপর দাঁড়িয়েই কাজ করতে হয়।”
২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই সমস্যা বহু দিন থেকেই চলছে। আমি এলাকায় পরিদর্শনেও গিয়েছিলাম।” তিনি আরও জানান, ওই নর্দমাটিকে মাটির নীচ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর জন্য প্রচুর টাকার দরকার। এ ব্যাপারে বিভিন্ন বড় বড় সংস্থার সঙ্গে কথাও বলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী বর্ষায় এই সমস্যা ঠিক হয়ে যেতে পারে।
|