দমদম সেন্ট্রাল জেল থেকে পাঠানো হয়েছিল হাওড়া পুলিশের হেফাজতে। সেখান থেকে তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষকে শুক্রবার ফের পাঠানো হল জেল-হাজতে। এ বার ঠিকানা হাওড়া জেল।
প্রতারণার একটি মামলায় ৩০ নভেম্বর কুণালবাবুকে দমদম জেল থেকে হাওড়া আদালতে নিয়ে গিয়েছিল হাওড়া পুলিশ। সাত দিন তাঁকে পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল ওই আদালত। এ দিন ফের কুণালবাবুকে জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় হাওড়া আদালত। আদালত-চত্বর থেকেই তৃণমূল সাংসদকে পাঠানো হয় হাওড়া জেলে। তার আগে কুণালবাবুর আইনজীবী অর্ধেন্দু দাস আবেদন করেন, তাঁর মক্কেল নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। তাই তাঁকে হাওড়া জেলের বদলে দমদম জেলে পাঠানো হোক। বিচারক সেই আর্জি নাকচ করে দেন। তবে হাওড়া জেলে কুণালবাবুর জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে বলে সেখানকার সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এ দিন বেলা সাড়ে ৩টেয় কুণালবাবুকে আদালতে তোলা হয়। তার আগে, বেলা ১১টায় কড়া পুলিশি প্রহরায় তাঁকে সাঁতরাগাছি থানা থেকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শারীরিক পরীক্ষার জন্য। এর পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া আদালতের কাছে এক পুলিশকর্তার অফিসে। সেখান থেকেই একমুখ দাড়ি নিয়ে আদালতে হাজির হন কুণালবাবু। আগাগোড়া তিনি চুপচাপ ছিলেন।
সরকারি আইনজীবী পায়েল ঘোষ বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়া আদালতে জানান, অভিযুক্তকে ফের পুলিশি হাজতে রেখে তদন্তের আর প্রয়োজন নেই। কিন্তু যে-মামলায় কুণালবাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাতে তাঁর যুক্ত থাকার তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তাই তদন্তের স্বার্থে তাঁকে হাওড়া জেলে রাখার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তা মঞ্জুর করেছে। |