সূর্যমুখীর তেলকল পেয়ে খুশি বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের চাষিরা। শুক্রবার সিমলাপালের বিক্রমপুরে একটি সমবায় সমিতি ভবনে সরকারি উদ্যোগে রাজ্যের প্রথম সূর্যমুখী তেলকল চালু হল। উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপকুমার মজুমদার। এসেছিলেন শতাধিক চাষিও। তাঁদের মধ্যে দীনবন্ধু মাহাতো, উদয়শঙ্কর শতপথি, নিখিল শতপথিরা বলেন, “আমাদের এলাকায় সূর্যমুখীর ভালই ফলন হয়। কিন্তু এত দিন সর্ষের ঘানিতেই সূর্যমুখী ভাঙাতে হত। তাতে তেল কম পাওয়া যেত। তার গুণগত মানও ভাল নয়। তাই কম পরিমাণে চাষ করতাম। তবে এ বার তেলকল পেয়ে গিয়েছি। এ বার থেকে ব্যবসা করার জন্য সূর্যমুখী চাষ করব।” |
হাতে তেলকলে ভাঙা তেল।—নিজস্ব চিত্র। |
কৃষি দফতর সূত্রে খবর, আগামী মরসুমে সূর্যমুখীর চাষ বাড়াতে ইতিমধ্যেই জেলায় চার টন বীজ বিলি করা হয়েছে। চাহিদা বেশি হওয়ায় আরও দেড় টন বীজ আনাতে চায় জেলা কৃষি দফতর। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য কৃষি অধিকর্তা পরিতোষ ভট্টাচার্য, বাঁকুড়ার জেলাশাসক বিজয় ভারতী, জেলা উপ-কৃষি অধিকর্তা অনন্তনারায়ণ হাজরা প্রমুখ। প্রদীপবাবু বলেন, “সূর্যমুখীর ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে এই জেলায়। কিন্তু তেলকল না থাকায় ও বিপণন ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় চাষিরা আগ্রহ পাচ্ছিলেন না। আমরা সেই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এসেছি।” চাষিদের তিনি আরও বেশি পরিমাণে সূর্যমুখীর চাষ করতে পরামর্শ দেন। আশ্বাস দেন বিপণনের ব্যবস্থা সরকার করবে। জেলাশাসক বলেন, “গত মরসুমেই জেলায় সূর্যমুখীর চাষ অনেক বেড়েছে। এ বার আশা করছি আরও বাড়বে।” জেলার উপ-কৃষি আধিকারিক জানান, বিক্রমপুর ছাড়াও সরকারি উদ্যোগে সোনামুখী ও বাঁকুড়া ১ ব্লকেও সূর্যমুখীর তেলকল চালু করা হবে। |