শিলংয়ের কনকনে ঠান্ডার চেয়েও রাঙ্গদাজিদ ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে আর্মান্দো কোলাসোর ‘কাঁপুনি’ বাড়াচ্ছে দুই বিদেশির চোট! কোনও চমৎকার না হলে, শনিবারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল কোচ পাচ্ছেন না উগা ওপারা ও রিউজি সুয়োকা।
চোট-আঘাতে অবস্থা এতটাই খারাপ যে, প্রথম দল বাছতে হিমশিম খাচ্ছেন আর্মান্দো। শুক্রবার শিলং থেকে ফোনে চিন্তিত গলায় লাল-হলুদ কোচ বললেন, “কী দল খেলাব এখনও ঠিক করে উঠতে পারিনি। ওপারার গোড়ালিতে চোট। সুয়োকার পাঁজরে ব্যথা। খাবরার হ্যামস্ট্রিং। এত চোট-আঘাত দেখে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কী ভাবে সামলাব বুঝতে পারছি না।” শনিবারের ম্যাচে চিডি ছাড়া ফিট বিদেশি নেই আর্মান্দোর।
জাতীয় দলের ডাকে কর্তব্যরত স্ট্রাইকার জেমস মোগা এখনও কেনিয়ায়। এ বার ডিফেন্স আর মিডফিল্ডের দুই অন্যতম স্তম্ভ ওপারা এবং সুয়োকার চোটে আর্মান্দোর দল যে আরও দুর্বল হয়ে পড়ল, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। |
|
|
রাংদাজিদ ম্যাচে নেই ওপারা এবং সুয়োকা। |
|
যদিও শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে বসে লাজং এফসি বনাম সালগাওকর ম্যাচ দেখার ফাঁকে রাংদাজিদের তারকা গোলকিপার সুব্রত পাল মোবাইলে বললেন, “এ বার ইস্টবেঙ্গল আই লিগ চ্যাম্পিয়ন না হলে অবাক হব। ওদের প্রত্যেকটা পজিশনে নিখুঁত ফুটবলার নেওয়া হয়েছে। কিছু চোট-আঘাত আছে ঠিকই। কিন্তু রিজার্ভ বেঞ্চ খুব শক্তিশালী। আমাদের ঘরের মাঠে খেলা। তবু বলছি, ইস্টবেঙ্গলকে হারানো কিন্তু সহজ নয়।”
মুখে ইস্টবেঙ্গলের প্রশংসা করলেও, ভিতরে ভিতরে অন্য কোনও ছক সাজাচ্ছেন না তো সুব্রতরা? এক সপ্তাহও কাটেনি, ম্যাচের আগের দিন যুবভারতীতে দাঁড়িয়ে রাংদাজিদ কোচ সন্তোষ কাশ্যপও তো বলেছিলেন, “মোহনবাগান বড় টিম। ঘরের মাঠে ওদের হারানো সহজ হবে না।” কিন্তু শেষমেশ দু’গোলে হারতে হয়েছিল ওডাফাদের। ইস্টবেঙ্গল কোচ অবশ্য সতর্ক। একজন মাত্র বিদেশি নিয়ে খেললেও টিম-কম্বিনেশনে জোর দিচ্ছেন তিনি। সেই কারণে দুই অভিজ্ঞ ফুটবলার হরমনজ্যোৎ খাবরা এবং সৌমিক দে-র সামান্য চোট থাকলেও দু’জনকে রেখেই প্রথম দল গড়ছেন আর্মান্দো। গোলে অভিজিতকে বিশ্রাম দিয়ে খেলানো হবে গুরপ্রীতকে। লাল-হলুদের গোয়ান কোচ বলছিলেন, “ভারতীয় ফুটবলারদের কাছে এই ম্যাচ নিজেদের প্রমাণ করার মঞ্চ। আমার বিশ্বাস, ওরা মুখিয়ে আছে মাঠে নামার জন্য।”
ভারতীয়রা কেমন খেলেন, সেটা তো নজরে থাকবেই। কিন্তু শনিবারের ম্যাচে আসল পরীক্ষা হল ময়দানের প্রথম গোয়ান কোচের। ডার্বির পরে কোনও জয় নেই যে ইস্টবেঙ্গলের! |
শনিবারে আই লিগ
ইস্টবেঙ্গেল: রাংদাজিদ (শিলং, ৫-০০)
স্পোর্টিং ক্লুব: ডেম্পো (গোয়া, ৩-৩০)
পুণে এফসি: মুম্বই এফসি (পুণে, ৬-০০)। |