তবে শুধু ব্রিটেন নয়। ঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশ। পোল্যান্ড, সুইডেন, জার্মানি, ডেনমাকের্র অবস্থা শোচনীয়। সব মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত সাত জনের। আহত অনেকে। বহু এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। ঘর ছাড়া বহু মানুষ। রেল ও বিমান পরিষেবাও ভীষণ ভাবে ব্যাহত হচ্ছে ওই সব দেশে।
ঝড়ের ধাক্কায় উত্তর ইংল্যান্ড আর স্কটল্যান্ডের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল গত কালই। আজ তার আঁচ গিয়ে পড়েছে দক্ষিণ ইংল্যান্ড আর ওয়েলসে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, স্কটল্যান্ডের কোনও কোনও অংশে ঘণ্টায় প্রায় ১৭২ মাইল বেগে ঝড় বয়ে গিয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ায় গোটা ব্রিটেনে ভেঙে পড়েছে কয়েক হাজার বাড়ি। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন। নৌকা করে ইতিমধ্যেই প্রচুর মানুষকে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। আলো নেই বহু বাড়িতে। কোথাও কোথাও জল জমে রয়েছে কোমরসমান। ত্রাণ শিবিরগুলিতে ঠাসাঠাসি ভিড়।
গত কালই পশ্চিম লোথিয়ানে এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। আজ পুলিশ জানিয়েছে, নটিংহ্যামশায়ারের রেটফোর্ডের একটি পার্কে গাছ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে আরও এক জনের। ঝড়ে আহতের সংখ্যাও প্রচুর। বাড়ি ধসে আঘাত পেয়েছেন কেউ। কারও আবার গাড়ির উপর ভেঙে পড়েছে বিশাল একটা গাছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু সম্পত্তি। আজ দুপুরের পর যদিও বন্যা সতর্কতা তুলে নিয়েছে স্কটল্যান্ডের আবহাওয়া দফতর। তবে ইংল্যান্ডের উপকূলবর্তী বেশ কিছু এলাকা এখনও সুরক্ষিত নয় বলে জানিয়েছেন খোদ ব্রিটিশ পরিবেশ মন্ত্রী ওয়েন প্যাটেরসন। সাধারণ মানুষের প্রতি তাঁর বার্তা, “আজ আর কাল দু’দিনই ভরা জোয়ারের আশঙ্কা রয়েছে। সবার কাছে অনুরোধ, দয়া করে আবহাওয়া দফতর আর স্থানীয় প্রশাসনের সতর্কবার্তা শুনে চলুন। খুব প্রয়োজন না হলে বাড়ি থেকে বেরোবেন না।”
কালকের মতো আজও রেল আর বিমান চলাচল সাঙ্ঘাতিক ভাবে ব্যাহত হয়েছে স্কটল্যান্ড আর ইংল্যান্ডের বড় একটা অংশে। রাজধানী লন্ডন থেকে প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে অনেক শহর। যেমন, নরউইচ থেকে লন্ডন যাওয়ার ট্রেনগুলি আজও বাতিল হয়েছে। কেন্ট, হার্টলপুল, সাফোকের মতো বহু এলাকার সড়ক পথও জলের তলায়।
|