|
|
|
|
নিরাপত্তার অভাবে বন্ধ হল ঢাকা-কলকাতা বাস
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বাংলাদেশে বিরোধী বিএনপি ও জামাতে ইসলামির ডাকা অবরোধের জেরে আজ শনিবার থেকে কলকাতা-ঢাকা বাস ‘সৌহার্দ্য’ ও ‘শ্যামলী’-র চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখা হচ্ছে। এ দিকে পচনশীল খাদ্যসামগ্রী বোঝাই বহু ট্রাক বেশ কয়েক দিন ধরে সীমান্তে আটকে রয়েছে। সেই সব ট্রাক কী ভাবে দ্রুত ও দেশে পাঠানো যায়, তার জন্য আজ বৈঠক ডাকা হয়েছে।
ভারত-বাংলাদেশ চুক্তির ভিত্তিতে ১৯৯৯ থেকে চলছে ‘সৌহার্দ্য’ ও ‘শ্যামলী’। পশ্চিমবঙ্গ ভূতল পরিবহণ নিগম বাস চালানোর দায়িত্ব দিয়েছে একটি পরিবহণ সংস্থাকে। ‘শ্যামলী’ চলাচলের দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশের কয়েকটি পরিবহণ সংস্থার একটি কনসোর্টিয়াম। এক পিঠে ১২ ঘণ্টার এই সফরের ভাড়া ১২০০ টাকা বা ১৭০০ বাংলাদেশি টাকা। নিরাপত্তার অভাবে দু’দেশের পরিচালকরাই আপাতত বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার যশোরে অবরোধকারীদের ইটের ঘায়ে কলকাতাগামী বাস ‘সৌহার্দ্য’-র কাচ ভাঙে। এক যাত্রীও জখম হন। বাস চালানোর দায়িত্বে থাকা সংস্থাটির ম্যানেজার অবনীকুমার ঘোষ বলেন, “শনিবার থেকে বাংলাদেশে বিরোধীরা ফের ৭২ ঘণ্টা সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে। যাত্রী ও বাসের নিরাপত্তার জন্যই বাস-পরিষেবা বন্ধ রাখতে হচ্ছে।” উত্তেজনা কমলে ফের পরিষেবা শুরু হবে বলে জানান অবনীবাবু।
যথেষ্ট চাহিদা থাকায় অনেকেই এই বাসের অগ্রিম টিকিট কেটে রাখেন। হঠাৎ যাত্রা বাতিল হলে তারা কি ভাড়া ফেরত পাবেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যাঁরা অগ্রিম টিকিট কেটেছেন, তাঁদের পুরো ভাড়া ফেরত দেওয়া হবে।
এ দিকে, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ও খাদ্য বোঝাই ট্রাকের দীর্ঘ সারি সীমান্তে আটকে থাকায় বাংলাদেশের বাজারে সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সহ-সভাপতি দিলীপ দাস এ কথা জানিয়ে শুক্রবার বলেন, “শনিবার বিষয়টি নিয়ে সীমান্তে বৈঠক হবে। বাংলাদেশের আমদানিকারীরা চাইছেন মাছ, পান বা ফলের মত পচনশীল দ্রব্য দ্রুত সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে যাক। কারণ বাংলাদেশের বাজারে ওই সব সামগ্রীর আকাল দেখা দিয়েছে।” বৈঠকে শুল্ক-দফতরের আঞ্চলিক অফিসারদেরও থাকার কথা। |
|
|
|
|
|