জয়রামনকে সরানোয় দাবি সিবিআই তদন্তের
শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির ঘটনায় অভিযুক্ত মালদহের জেলাশাসক গোদালা কিরণকুমারকে গ্রেফতারের পরেই শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কে জয়রামনকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করার সমালোচনায় সরব হলেন বিরোধীরা। কংগ্রেস এবং বাম নেতারা রাজ্য সরকারের তদন্তের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে সিবিআই তদন্ত দাবি করলেন। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, “এই সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না। কারণ তা হলে ঝুলি থেকে বেড়াল বের হবে।”
সোমবার সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমান বিধানসভার উল্লেখ পর্বে বলেন, “সরকার বলছে আইন আইনের পথে চলবে। এক পুলিশ অফিসার দুর্নীতির মামলায় এক ডিএমকে গ্রেফতার করার পরে তাঁকে পুরস্কার দেওয়ার বদলে বরখাস্ত করে শাস্তি দেওয়া হল। এটা কেমন আইন আইনের পথে চলা?” বিমান বসুও এ দিন বিকেলে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের ব্যারাকপুর-টালিখোলায় দলীয় এক জনসভায় বলেন, “শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদে একশো কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে। যে পুলিশ কমিশনার তদন্ত করতে চাইছিলেন, তাকে ক্লোজ করে দেওয়া হল। এই সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না। কারণ তাহলেই তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কদের নাম বেরিয়ে আসবে।”
এ দিন শিলিগুড়িতে অনিল বিশ্বাস ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য অশোক ভট্টাচার্য। জয়রামনকে অপসারণের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এ থেকে স্পষ্ট যে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের আড়াল করতেই পুলিশের উপর চাপ তৈরি করেছে সরকার। এই অবস্থায় পুলিশের পক্ষে নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব নয়। এ জন্যই সিবিআই তদন্তের দাবি করেছি।”
কংগ্রেস নেতারাও এ দিন সরকারকে তীব্র আক্রমণ করতে ছাড়েননি। বহরমপুরে দলীয় কর্মীদের একটি সভায় জয়রামনকে অপসারণের সমালোচনা করে রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী বলেন, “দুর্নীতিকে এই সরকার প্রশ্রয় দিচ্ছে। কারণ শাসক দলের অনেকে এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করছি। তাতে কংগ্রেসের যদি কেউ যুক্ত বলে জানা যায়, তাতেও কোনও ক্ষতি নেই।”
এসজেডিএ কাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তৃণমূলের দলীয় স্বার্থে পুলিশকে ব্যবহার করছে বলে এ দিন অভিযোগ করেন কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। সোমবার খড়্গপুরে এক পথসভায় মানসবাবু বলেন, “পুলিশ কমিশনার জয়রামনের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পদক্ষেপ করেছেন, তাতে পুলিশ এবং আইএএসের মধ্যে লড়াই লেগে যাবে। আমরা চাই পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করুক। এ রাজ্যে তৃণমূলকে রক্ষা করতে পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে।”
সারা দিন বিরোধীদের এই আক্রমণের মুখে অবশ্য তৃণমূল নেতারা তেমন কোনও মন্তব্য করেননি। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়কে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এটা সরকারের বিষয়। কোনও মন্তব্য করব না।” মন্ত্রীদের কয়েকজনকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁরাও প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.