পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রামপদ বেরাকে দায়িত্ব থেকে সরানোর বিষয়টি নিয়ে সোমবার আবার বিতর্ক উঠল। কীসের ভিত্তিতে রেজিষ্ট্রারকে অব্যাহতি দেওয়া হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তা জানতে চেয়েছে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সোমবার বলেন, “শো-কজ নয়, বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়েছে।” তার জবাবও পাঠানো হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
গত ২৫ নভেম্বর রামপদবাবুকে একটি নোটিস পাঠিয়ে বারাসতের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কৌশিক গুপ্ত জানান, রেজিস্ট্রারের কাজকর্ম ‘সন্তোষজনক’ নয়। তাই তাঁকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। ওই নির্দেশের প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মীদের একাংশ। প্রতিবাদে হাইকোর্টের দ্বারস্থও হন রামপদবাবু। এর পরেই উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে বিষয়টি উপাচার্যের কাছে জানতে চাওয়া হয়।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, উপাচার্যের কাছে কয়েকটি বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছে। তা হল, রেজিস্ট্রারকে সরিয়ে দেওয়ার আগে নিয়নমকানুন মানা হয়েছিল কি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিলের বৈঠকে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল কি না। রেজিস্ট্রারকে কারণ দর্শাতে বলা হয়ে ছিল কি না। সরকার তথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল কি না। কৌশিকবাবুও বলেন, “কেন, কী কারণে রেজিষ্ট্রারকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে সেটাই জানতে চাওয়া হয়। তার জবাবও আমি দিয়ে দিয়েছি।” সেই জবাবের ভিত্তিতে রামপদবাবুকে পুনর্বহাল করা হবে কী? ব্রাত্যবাবুর জবাব, “সেটা উপাচার্যের সিদ্ধান্ত।” তিনি জানান, রেজিস্ট্রারকে পুনর্বহাল করার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু নির্দেশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বশাসনে হস্তক্ষেপ করা হবে না।
গত ক’মাস ধরেই রামপদবাবুকে নিয়ে চলছে চাপানউতোর। ২০১২-র ফেব্রুয়ারিতে রেজিস্ট্রার হিসাবে যোগ দেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, রামপদবাবুর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে ২৪ নভেম্বর বৈঠক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল সদস্যরা। ঠিক হয়, উপাচার্য যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত হবে। এর পরেই উপাচার্য রামপদবাবুকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার প্রতিবাদে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রামপদবাবু। ইতিমধ্যেই হাইকোর্ট থেকেও বিশ্ববিদালয়ের কাছে নোটিশ গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এ দিন বিধানসভায় একটি প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চাপের মুখে যাদবপুর বা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদত্যাগ করেননি।
|