বিধানসভার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীর সমাপ্তি উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন বিরোধীশূন্য হওয়ার দিকেই এগোচ্ছে! কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, চলতি অধিবেশন বয়কট করার অবস্থান বজায় রেখেই তারা ওই অনুষ্ঠানে থাকতে চায় না। বাম বিধায়কদের মধ্যেও একই মত প্রবল। এই অবস্থায় আজ, মঙ্গলবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বামফ্রন্ট রাজ্য নেতৃত্ব।
আলিমুদ্দিনে সোমবার সিপিএমের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য নেতৃত্ব। অশোক ঘোষ, জয়ন্ত রায়, হাফিজ আলম সৈরানি ও উদয়ন গুহ সেখানে বয়কটের পক্ষেই জোরালো সওয়াল করেছেন। তাঁদের যুক্তি, বিধানসভায় যে ভাবে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, জ্যোতি বসুর প্রতিও যে ভাবে অসম্মান প্রদর্শন করা হচ্ছে, তার পরে ৭৫ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ার কোনও মানে হয় না। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু ফব নেতাদের বলেন, তাঁদের পরিষদীয় নেতৃত্বেরও একই মত। ফ্রন্টের বৈঠকে আজ বাকি শরিকদের একমত করার চেষ্টা করা হবে। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র এ দিন বলেছেন, “রাজ্য বামফ্রন্ট যা সিদ্ধান্ত নেবে, পরিষদীয় দল তা-ই মেনে নেবে।”
কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতারা এ দিনও বলেছেন, বিধানসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে একতরফা কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন, তা নিয়ে যথাযথ আলোচনার দাবি সরকার না মানায় তাঁরা অধিবেশনে অংশ নেবেন না।
শাসক দলের সব বিধায়কেরও অবশ্য রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে বিধানসভায় থাকা হচ্ছে না। পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ৬ ডিসেম্বর কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলির বিধায়কদের বিধানসভার অনুষ্ঠানে আসবেন। এর পরে তাঁরা যাবেন ময়দানে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে ‘সংহতি দিবস’-এর সমাবেশে। আর বাকি জেলাগুলির বিধায়কদের ব্লকে ব্লকে ‘সংহতি দিবস’ পালন করতে হবে।
|