রাজ্য বিধানসভার ৭৫ বছর পূর্তির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বিরোধীদের অংশগ্রহণ নিয়ে শুক্রবারও অনিশ্চয়তা কাটল না। শাসক দলের সঙ্গে সংঘাতের সূত্রে কংগ্রেস বিধানসভার চলতি অধিবেশন বয়কট করছে। প্রায় প্রতিদিনই বিরোধী বামেরাও অধিবেশন থেকে ওয়াক-আউট করছেন। সংঘাতময় আবহাওয়ায় আগামী ৪-৬ ডিসেম্বরের ওই অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্তে অনড় থাকল কংগ্রেস পরিষদীয় দল। বামেরাও ওই অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন কি না তা নিয়ে এ দিন পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ওই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও লোকসভার স্পিকার মীরাকুমারও আমন্ত্রিত। |
ছায়াসূর্য: রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে বামফ্রন্টের সভা। ছবি: প্রদীপ আদক। |
মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সভায় তাদের আলোচনার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে কংগ্রেস চলতি অধিবেশন বয়কট করছে। প্রায় সপ্তাহ দুয়েক পরেও তাদের দাবি নিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে কার্যত কোনও ইতিবাচক সাড়া না পেয়েই এ দিন সভার কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকেও যায়নি কংগ্রেস। অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে এ দিন কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক হয়। বৈঠকের পরে পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাব জানান, শাসক দল যে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে, তা সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী। সে জন্যই তাঁরা বয়কট অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের কর্মসূচির মধ্যেই সমাপ্তি অনুষ্ঠান পড়ছে। তাই আপাতত ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার প্রশ্ন নেই।” বিষয়টি তাঁরা দিল্লিতে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যকেও জানিয়েছেন। তবে সোহরাব বলেন, “অনুষ্ঠানের আগে আমরা স্পিকারের তরফে যদি ইতিবাচক সাড়া পাই, তখন বিষয়টি বিবেচনা করব।”
এ দিন বামফ্রন্টের বৈঠকেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া নিয়ে ফ্রন্টের শরিকেরা দ্বিধাবিভক্ত। ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, “বিষয়টি নিয়ে ফ্রন্টে আলোচনা চলছে। ৩ ডিসেম্বর আবার আলোচনায় বসব।” এ দিন বিধানসভা চত্বরে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ দেখানোর সময় বাম বিধায়কদের কেউ কেউ স্লোগান দেন, প্ল্যাটিনাম জুবিলির অনুষ্ঠানে তাঁরা যোগ দেবেন না। |