হাওড়া পুরসভার মেয়র পদে তৃণমূলের রথীন চক্রবর্তীর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার তৃণমূলের কার্যকরী সমিতির বর্ধিত সভায় হাওড়া ছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পদে দলের প্রণব বসু, ঝাড়গ্রামে দুর্গেশ মল্লদেব এবং কৃষ্ণনগরের জন্য অসীম সাহার নাম প্রস্তাব করেন। এই চার পুরপ্রধানের নাম প্রস্তাব করে মমতা বলেন, কাউন্সিলররা এ বার তাঁদের নির্বাচন করবেন।
হাওড়ায় রথীনবাবুর নাম প্রত্যাশিতই ছিল। পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক রথীনবাবুকে পুরোভাগে রেখেই হাওড়া পুরভোটে লড়েছিল তৃণমূল। ৩৫ বছর পরে বামেদের হাত থেকে বিরোধীরা হাওড়া পুরবোর্ডের দখল নেওয়ায় মানুষকে ধন্যবাদ জানান মমতা। অসীমবাবু এর আগে কৃষ্ণনগরের কংগ্রেস পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। পুরভোটের আগে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। অসীমবাবু ছাড়াও শান্তিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান ও বিধায়ক অজয় দে-র মতো অন্যান্য পুরসভা থেকে আসা বিরোধী দলের কর্মীদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার পরামর্শ দেন মমতা। বিরোধী দল থেকে আসা যোগ্য কর্মীদের উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করতে বলেন। কলকাতাকে যেমন সুন্দর করে সাজানোর প্রকল্প চলছে, গ্রাম থেকে মফস্সল একইভাবে ঝাঁ চকচকে রাখার নির্দেশও দেন।
রাজ্যের উন্নয়ন তদারকিতে জেলা পরিকল্পনা কমিটি কী ভাবে কাজ করবে, তার দিশাও দেন। লোকসভা ভোটের আগে কর্মীরা যাতে দলীয় অনুশাসনে সংগঠনের শক্তি বাড়াতে পারেন, সে জন্য তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির দায়িত্বও বাড়িয়েছেন। ওই কমিটির দায়িত্বে এতদিন ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়, দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। এই তিন নেতার পাশাপাশি এখন থেকে দায়িত্বে থাকবেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সাংসদ রত্না দে নাগ। লোকসভা ভোটের প্রস্ততিতে দলের গতিমুখ নির্ধারণের জন্য নির্বাচনী কমিটিও এ দিন গড়েন মমতা। কমিটির দায়িত্বে মুকুলবাবু, ফিরহাদ, জ্যোতিপ্রিয়বাবু, রত্নাদেবী ছাড়াও সাংসদ সৌগত রায়, মন্ত্রী জাভেদ খান প্রমুখের নাম ঘোষণা করেন দলনেত্রী। দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে তিন মাস অন্তর দলের নীতি নির্ধারণ কমিটিকে বৈঠক করার কথা বলেন মমতা। |