এত দিন বাস-মালিকদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন নেতাজি ইন্ডোর কিংবা মহাকরণে। এ বার বাস-মালিকদের অভাব-অভিযোগ শুনতে তাঁদেরই অফিসে যাচ্ছেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। স্বভাবতই বাস-মালিকদের আশা, তাঁদের দফতরে মন্ত্রী বাসভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে কোনও আশ্বাস দেবেন। মন্ত্রী অবশ্য সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাচ্ছেন। বলছেন, বাস-মালিকদের অভাব-অভিযোগ শুনে তা দূর করার চেষ্টা হবে।
আজ, শনিবার দুপুরে রাজ্যের বাস-মালিকদের প্রধান দু’টি সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটস এবং বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের অফিসে যাবেন মদনবাবু। দু’টি জায়গাতেই সংগঠনের জেলা স্তরের নেতারা মন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। প্রথমে বেলা ১২টায় বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের দফতরে যাবেন পরিবহণমন্ত্রী। পরে, বেলা ২টোয় জয়েন্ট কাউন্সিলের অফিসে গিয়ে বাস-মালিকদের নানা অভাব-অভিযোগ শুনবেন তিনি।
জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটসের নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার বলেন, “আমাদের অভাব-অভিযোগ বলতে তো মূলত ভাড়া বাড়ানোর দাবি। আমরা বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও সরকার ভাড়া না-বাড়ানোয় রাজ্যের পরিবহণ শিল্প ধুঁকছে। সংগঠনের নেতারা সেটাই বলবেন মন্ত্রীকে।” বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের নেতা দীপক সরকারও বলেন, “মন্ত্রীকে আমাদের নানান অসুবিধার কথা, দাবিদাওয়ার কথা তো জানাবই। প্রধান দাবি অবশ্যই বাসভাড়া বাড়ানো।”
বাস-মালিকদের বক্তব্য, পুজোর আগে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে তাঁরা আন্দোলন শুরু করেছিলেন। বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট ধর্মঘটে যোগ না-দিলেও জয়েন্ট কাউন্সিল দু’দিনের ধর্মঘটের ডাক দেয়। পরে পরিবহণমন্ত্রীর আশ্বাসে তারা ধর্মঘট তুলে নেয়। বাস-মালিকদের দাবি, পরিবহণমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, কালীপুজোর পরে সরকার তাঁদের সঙ্গে বাসভাড়া বাড়ানোর দাবি নিয়ে ফের আলোচনা শুরু করবে। এক বাস-মালিকের কথায়, “কালীপুজোর পরে তো প্রায় এক মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু বাসভাড়া নিয়ে সরকার আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনায় বসেনি। এখন মন্ত্রী নিজে যখন আসছেন, নিশ্চয়ই কিছু একটা হবে।”
মন্ত্রী অবশ্য বাস-মালিকদের আশা পূরণের ইঙ্গিত দেননি। তিনি বলেন, “আমি নিজেই তো ওঁদের ওখানে অতিথি। ফলে কিছু দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ওঁদের অভাব-অভিযোগ শুনতে যাচ্ছি। সেগুলো দূর করার জন্য আমরা ভাবনাচিন্তা করব। কিন্তু আমাদের ভাড়া বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা নেই।” |