সরকারি আলু বন্ধ, আবার ঊর্ধ্বমুখী দাম
রকারি ব্যবস্থাপনায় আলু সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতেই শহরের বিভিন্ন বাজারে আলুর দাম বাড়ার কথা স্বীকার করে নিল কলকাতার পুর-প্রশাসন। সোমবার পুরসভায় এ নিয়ে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আজ, মঙ্গলবার নবান্নে টাস্কফোসের্র বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি সবিস্তার জানানো হবে।
সব কিছু শোনার পরে এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী নির্দেশ দেন, আপাতত তারই অপেক্ষায় রয়েছে পুরসভা এবং রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতরের বিভাগীয় কর্তারা।
অক্টোবর মাসের শেষের দিকে কলকাতা শহর ও শহরতলির বিভিন্ন বাজারে জ্যোতি আলুর দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যায়। এর ফলে আমজনতার অসুবিধার কথা ভেবে গত পয়লা নভেম্বর জ্যোতি আলুর দর বেঁধে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, পাইকারি বাজারে তা বিক্রি করতে হবে কিলো প্রতি ১১ টাকা ও খুচরো বাজারে ১৩ টাকা দরে। আর তার পরেই বিভিন্ন বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় আলু। পরে মমতার নির্দেশে বিভিন্ন বাজারে আলু সরবরাহ শুরু করে রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতর।
অন্য রাজ্যে আলু পাঠানোও সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ দিকে, মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশের পরে হঠাৎ করেই বাজারে আলু বিক্রি বন্ধ করে দেন আলুর পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এর জেরে বাজার থেকে আলু কার্যত উধাও হয়ে যায়। তার পরেই বাজারে বাজারে আলু সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।
এক পুরকর্তার কথায়, সরকারি ব্যবস্থায় শহরের বিভিন্ন বাজারে সে সময়ে ১১ টাকা পাইকারি দরে দৈনিক প্রায় পাঁচ হাজার কুইন্টাল আলু সরবরাহ করেছে কলকাতার পুর-প্রশাসন। আর বাজারে ক্রেতারা তা পেয়েছেন ১৩ টাকা দামে। এমনকী, বেশ কয়েক জন কাউন্সিলরও নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এলাকায় আলু বেচেছেন।
পুরসভা সূত্রের খবর, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই আলু সরবরাহ বন্ধ করে দেয় কৃষি বিপণন দফতর। পুরসভার বাজার দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “তখনই কৃষি বিপণন দফতরে জানিয়েছিলাম, ওই ব্যবস্থায় আলু সরবরাহ আরও কয়েক দিন চালানো প্রয়োজন। কিন্তু তা করা হয়নি।” ওই আধিকারিক জানান, সোমবার জ্যোতি আলুর পাইকারি দর ছিল কোলে মার্কেটে ১৩, পোস্তায় ১৪, বেহালা নতুনবাজারে ১৪, জিঞ্জিরাবাজারে ১৫ টাকা। আর মানিকতলা, গড়িয়াহাট, শ্যামবাজার, লেক মার্কেট, গড়িয়া এবং নিউ মার্কেটের খুচরো বাজারে ক্রেতারা জ্যোতি আলু কিনেছেন ১৫-১৬ টাকা দরে।
কী বলছে কৃষি বিপণন দফতর?
ওই দফতরের এক আধিকারিকের বক্তব্য, “আলুর জোগান স্বাভাবিক হতেই সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছিল। আসলে এখন হিমঘরে প্রচুর আলু মজুত রয়েছে। ভাবা হয়েছিল, এ বার হয়তো আলুর দাম কিছুটা কমবে।”
কিন্তু তার পরেও ফের আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরও। ওই অফিসারের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এ ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ থাকায় আগ বাড়িয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করতে সাহস পাচ্ছে না কোনও দফতরই।” এমনকী, বাজারে দাম ও মাল ঠিকঠাক নেওয়া হচ্ছে কি না, তা যাচাই করা যাদের কাজ, সেই এনফোর্সমেন্ট দফতরও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে।
এ দিন পুরসভায় এই সংক্রান্ত বৈঠকে মেয়র পারিষদ (বাজার) তারক সিংহ, পুর-কমিশনার খলিল আহমেদ, টাস্কফোর্সের দুই সদস্য, ব্যবসায়ী সমিতির কয়েক জন সদস্য-সহ পুরসভা, এনফোর্সমেন্ট শাখা ও রাজ্য সরকারের একাধিক অফিসার হাজির ছিলেন। বৈঠক শেষে তারকবাবু বলেন, পুরো বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোর জন্য টাস্কফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.