|
|
|
|
যৌন ক্ষমতার পরীক্ষায় পাশ করলেন তেজপাল |
সংবাদ সংস্থা • পানজিম |
দফায় দফায় জেরা, নিদ্রাহীন রাত, তার পর সকাল হতে না হতেই একপ্রস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পালা। আজ সকালে যৌন ক্ষমতার পরীক্ষার জন্য তরুণ তেজপালকে নিয়ে যাওয়া হয় গোয়ার মেডিক্যাল কলেজে। নয়া আইনে ধর্ষণে অভিযুক্তদের এই পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। আসারাম বাপুর বিরুদ্ধে যখন ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে, তখন এই পরীক্ষার সামনে পড়তে হয় তাঁকেও। বিকেলে গোয়া পুলিশ জানায়, যৌন ক্ষমতার পরীক্ষায় পাশ করেছেন বছর পঞ্চাশের তেজপাল।
যৌন ক্ষমতার পরীক্ষার পাশাপাশি এ দিন ডিএনএ এবং রক্ত পরীক্ষাও হয় তেজপালের। সকালে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দুপুর সোয়া তিনটে নাগাদ ফের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। গোয়া মেডিক্যাল কলেজের ডিন ভি এন জিন্দল এ নিয়ে সবিস্তার কিছু না বললেও জানিয়েছেন তদন্তকারীদের দাবি মেনেই আজ বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে তহেলকার প্রাক্তন সম্পাদকের।
প্রথম রাতটা পানজিমের জেলে কাটিয়েছিলেন দুই খুনের আসামির সঙ্গে। রবিবার দুপুরে তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পর বদলে গিয়েছে কুঠুরি। কাল রাতে তেজপালের সঙ্গী বলতে ছিলেন চার চোরাশিকারি। ব্যাঙ আর কচ্ছপ শিকারের অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। পর্তুগিজ আমলের একটা পুরনো বাড়িতে পানজিমের এই লক-আপ। লম্বা এক সুড়ঙ্গ শেষে মোট তিনটে কুঠুরি। একটা মেয়েদের আর বাকি দু’টো ছেলেদের। দৈর্ঘ্য-প্রস্থে মেরেকেটে আট ফুট বাই চার ফুট। উচ্চতা পাঁচ মিটার এ রকমই এক কুঠুরির আপাতত পাঁচ নম্বর বাসিন্দা তেজপাল। একটা ছোট্ট দেওয়াল খাড়া করা হয়েছে কুঠুরির পিছনে। ঘরের বাসিন্দাদের শৌচাগার ওটাই। দেওয়ালটা এতটাই ছোট যে যিনি ব্যবহার করবেন, কোনও মতে শরীরটা ঢাকা পড়বে তাঁর।
গত কাল রাতে নতুন আস্তানায় ঢোকার পরই সঙ্গীদের সঙ্গে কথাবার্তা চালানোর চেষ্টা করেন তরুণ। চার জনের নামে কী অভিযোগ রয়েছে, প্রশ্ন করেছিলেন হিন্দিতে। কিন্তু জবাব আসেনি অন্য পক্ষ থেকে। আসবেই বা কী করে, তাঁরা যে ভাষাটাই বোঝেন না। উত্তর দেওয়ার বদলে ফ্যালফ্যাল চোখে চার জনই তাকিয়ে থাকেন প্রশ্নকর্তার দিকে।
রবিবার বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট যখন তাঁর ছ’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন, উদ্বেগের ছিটেফোঁটাও ছিল না তেজপালের চেহারায়। নিরুদ্বিগ্ন মুখে আদালত চত্বরে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুরাও। এক দিন পরে অবশ্য ছবিটা একটু হলেও বদলেছে, জানাচ্ছেন পুলিশ কর্তাদেরই একাংশ। তাঁদের কথায়, সোমবার তেজপালের চেহারায় ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। চোখে-মুখে যেন ফুটেছে চিন্তার রেখাও। গত কাল বিচারকের নির্দেশের পর ডোনা পাওলার ক্রাইম ব্রাঞ্চে এক নাগাড়ে জেরা করা হয় তাঁকে। রাতে বোধহয় ভাল ঘুমও হয়নি (মাঝে দু’বার জল খেতে উঠেছিলেন)। সব মিলিয়ে চোখের রং টকটকে লাল।
সকালে হাসপাতাল যাওয়ার আগে তেজপালের সঙ্গে জেলে দেখা করতে আসে তাঁর পরিবার। তাঁদের আনা পাও ভাজি আর জেলের চা দিয়ে প্রাতরাশ সারেন তেজপাল। একে তো কুঠুরিতে পাখা নেই, তার উপর মেঝেতে শোয়া, সাত-পাঁচ ভেবে তেজপালের জন্য এ দিন গদি নিয়ে গিয়েছিলেন বাড়ির লোক। তবে শেষ পর্যন্ত গদিটি তেজপালের হাতে পৌঁছয়নি। কোর্টের নির্দেশ নেই, ফলে জেলে গদি দেওয়া যাবে না সাফ জানায় পুলিশ। একটা পাখার বন্দোবস্ত করতে বলে অবশ্য ইতিমধ্যেই আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তরুণ তেজপাল।
|
পুরনো খবর: বাবার শুনানি চলছে, মেয়ে ব্যস্ত মোবাইল হাতে |
|
|
|
|
|