এখনও মুখ ফিরিয়ে ক্রেতারা। উৎসবের মরসুম চলে যাওয়ার পরেই তাই ফের গাড্ডার মুখে দেশের গাড়ি সংস্থাগুলি। দু’একটি বাদে বেশির ভাগেরই বিক্রি কমেছে। যে- তালিকায় আছে দেশের বৃহত্তম সংস্থা মারুতি-সুজুকিও।
আগের বছরের নভেম্বরের তুলনায় এ বার দেশে মারুতির বিক্রি কমেছে ৫.৯%। তাদের বিভিন্ন ধরনের ছোট (মিনি) গাড়ির বিক্রি ৩.৭% বাড়লেও ব্যবসা মার খেয়েছে ‘কমপ্যাক্ট’ (সুইফট, এস্টিলো, রিৎজ) গাড়ির ক্ষেত্রে। এই ক্ষেত্রে বিক্রি কমেছে প্রায় ২৪%। আর সব গাড়ি মিলিয়ে রফতানি ব্যবসা পড়েছে প্রায় ৪৬%।
বিক্রি কমার তালিকায় রয়েছে টাটা মোটরস, হুন্ডাই, জেনারেল মোটরস, মহীন্দ্রা, টয়োটা কির্লোস্করও।
টাটা মোটরস-এর বিক্রি কমেছে প্রায় ৪০%। তাদের আর এক প্রতিদ্বন্দ্বী হুন্ডাই মোটরের বিক্রি কমেছে ৩.৬%। তারাই দেশের সবচেয়ে বড় রফতানিকারী সংস্থা। কিন্তু সেই ব্যবসাতেও ধাক্কা খেয়েছে তারা। হুন্ডাইয়ের রফতানি ব্যবসা কমেছে ২৩%।
জেনারেল মোটরস ও মহীন্দ্রার বিক্রি কমেছে যথাক্রমে ১৪.১৪% ও ২২%। দুই সংস্থাই মনে করে, দেশের আর্থিক অবস্থার প্রতিফলন এটা। উৎসবের মরসুমের পরে ক্রেতাদের আগ্রহে ফের ভাটা পড়ার দরুণ এই ধাক্কা। এখনই এই পরিস্থিতির কোনও উন্নতির আশা করছে না তারা। টয়োটা-র বিক্রিও সামান্য কমেছে।
ফোর্ড ইন্ডিয়া ও হোন্ডা মোটর অবশ্য ব্যতিক্রম। মূলত তাদের দুই নতুন গাড়ি যথাক্রমে ইকো-স্পোর্টস ও অ্যামেজ, ব্যবসায় বাড়তি গতি এনেছে। নভেম্বরের হিসেবে, হোন্ডার বিক্রি বেড়েছে ১৫১%। ৩৩% বেশি গাড়ি বিক্রি করেছে ফোর্ড।
দু’চাকার গাড়ির ক্ষেত্রে অবশ্য ছবিটা বেশ উজ্জ্বল। হিরো মোটোকর্প, হোন্ডা মোটরসাইকেল, ইয়ামাহার বিক্রি বেড়েছে নভেম্বরে। তবে বিক্রি কমছে টিভিএসের। |