উৎসবের মরসুম শুরুর ঠিক আগেও কপাল ফিরল না দেশের গাড়ি শিল্পের। সেপ্টেম্বরে মূলত চার চাকার গাড়ি বিক্রি তলানিতেই। বিশেষজ্ঞরাও হাল ছেড়ে দিয়ে বলছেন, আগামী অর্থবর্ষের আগে এই শিল্পে প্রাণ ফেরার আশা প্রায় নেই বললেই চলে।
যেমন মারুতি-সুজুকির বিক্রি গত বছরের সেপ্টেম্বরের চেয়ে এ বার মাত্র ১.৮% বেড়েছে। তা-ও গত বছর এই সময়ে শ্রমিক অসন্তোষের জন্য তাদের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছিল। তখন যদি গাড়ি বিক্রি বেশি থাকত, তা হলে এই বৃদ্ধি আদৌ সম্ভব হত কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে।
কয়েক মাস আগেও বিক্রি বাড়ছিল ইউটিলিটি ভেহিক্ল-এর মতো বড় গাড়ির। এখন ছবিটা উল্টো। এ ধরনের গাড়ির বৃহত্তম সংস্থা মহীন্দ্রার বিক্রি কমেছে ১০%। মারুতির এ ধরনের গাড়ি বিক্রি কমেছে ৬৩%। সার্বিক ভাবে বিক্রি কমেছে হুন্ডাই (০.৮%), টাটা মোটরস (৪০%), জেনারেল মোটরসেরও (৪.৭৯%)।
উপদেষ্টা সংস্থা আইএইচএস অটোমোটিভ-এর বিশেষজ্ঞ অনিল শর্মার বক্তব্য, আরবিআইয়ের সুদ বাড়ানোর ধাক্কা এসে পড়েছে বাজারে। তিনি বলেন, “আগে ভেবেছিলাম, এ বছরের শেষের দিকে গাড়ি বাজারের চাকাটা ঘুরবে। কিন্তু সুদ বৃদ্ধির জেরে মনে হয় না অন্তুত তিন মাসের আগে তা সম্ভব।”
হোন্ডা (৮৮%) ও ফোর্ড ইন্ডিয়ার (৩৭%) বিক্রি অবশ্য বেড়েছে। সম্প্রতি তারা নয়া গাড়ি অ্যামেজ ও ইকো স্পোটর্স বাজারে এনেছে। যেগুলি গত বছর এই সময়ে তাদের ভাঁড়ারে ছিল না।
দু’চাকার গাড়ি (মোটরসাইকেল ও স্কুটার) নির্মাতাদের গত মাসটা ভালই গিয়েছে। হিরো (১৬%), টিভিএস (১৬%), হোন্ডা মোটরসাইকেল অ্যান্ড স্কুটার (৩৫%), ইয়ামাহার (৪২%) বিক্রি বেড়েছে। ভাল বর্ষার মরসুম ৩৭% বিক্রি বাড়িয়েছে মহীন্দ্রা ট্র্যাক্টরের-ও।
|