সাত মাস ধরে একটানা কমেই চলেছে যাত্রী গাড়ি বিক্রি। গাড়ি শিল্পের দাবি, স্মরণকালের মধ্যে এতটা গাড্ডায় কখনও পড়েনি এই ব্যবসা। ২০০৮-’০৯ সালের মন্দার সময়েও বিক্রির এই হাল হয়নি।
গাড়ি শিল্পের সংগঠন সিয়াম মঙ্গলবার জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় এ বারের মে মাসে যাত্রী গাড়ির বিক্রি কমেছে প্রায় ১২%। তবে তাদের উদ্বেগে রাখছে গাড়ি শিল্পের সার্বিক ছবিটাই। কারণ একমাত্র বড় ধরনের গাড়ি বা ‘ইউটিলিটি ভেহিকল’ (ইউভি) ও স্কুটার ছাড়া ছাড়া কার্যত সব ধরনের গাড়ি বিক্রিই তলানিতে। |
এর কারণ হিসেবে শুধুমাত্র তেলের দাম বাড়া বা চড়া সুদের জন্যই ক্রেতারা পিছিয়ে যাচ্ছেন, তা মনে করছে না সিয়াম। তাদের বক্তব্য, দেশের আর্থিক অবস্থারই প্রতিচ্ছবি গাড়ি শিল্পে। বস্তুত, সার্বিক ভাবে উৎপাদন শিল্পের অবস্থাও তথৈবচ। এই পরিস্থিতি যথেষ্টই উদ্বেগের বলে মনে করছে সিয়াম।
অবস্থার উন্নতি না-হলে গাড়ি শিল্পে কর্মসঙ্কোচনের আশঙ্কাও একেবারে উড়িয়ে দেননি সিয়ামের ডিরেক্টর জেনারেল বিষ্ণু মাথুর। তিনি বলেন, “কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দিষ্ট কোনও তথ্য এখনও আমাদের কাছে নেই। তবে যা পরিস্থিতি, তাতে এটা ঘটতে পারে।” তাঁদের আশঙ্কা, গোড়ার দিকে মূলত যন্ত্রাংশ শিল্পের অস্থায়ী কর্মীদের উপর কোপ পড়তে পারে। গাড়ির চাহিদা না বাড়লে গাড়ি সংস্থার ক্ষেত্রেও পরে এই আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
কখন চাকাটা সামনের দিকে ঘুরতে পারে? জবাবে মাথুর বলেন, “সার্বিক ভাবে যখন আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে তখনই। শুধু সুদ কমানোই যথেষ্ট নয়।” চাকা ঘোরার জন্য অবশ্য তাঁরা এখন তাকিয়ে বর্ষার মরসুমের দিকেই। আশা, বর্ষা ভাল হলে অন্তত দু’চাকার ও চার চাকার ছোট গাড়ির চাহিদা বাড়বে।
|