টাকার একটানা পতন রুখতে অবশেষে হস্তক্ষেপ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বাজার সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক মারফত ডলার বিক্রি করে টাকাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে শীর্ষ ব্যাঙ্ক।
ফলে প্রতি ডলারের দাম ৫৮.৯৮ টাকা ছুঁলেও সেখান থেকে বাজার বন্ধের সময়ে কিছুটা উঠে এসে মুখরক্ষা করে ভারতীয় মুদ্রা। তবে দিনের শেষে ১ ডলারের দাম ২৪ পয়সা কমে দাঁড়ায় ৫৮.৩৯ টাকা, যেটাও টাকার ইতিহাসে নতুন নজির। টাকার পতনের ফল ভুগতে হয় শেয়ার বাজারকেও। প্রায় ৩০০ পয়েন্ট পড়ে এ দিন সেনসেক্স নেমে যায় ১৯,১৪৩ পয়েন্টে। গত দু’মাসে এতটা নীচে নামেনি সেনসেক্স। |
এর পিছনে অবশ্য ইন্ধন জুগিয়ছে জিন্দল স্টিল শেয়ারের প্রায় ১৫% পতন। কয়লা ব্লক বণ্টন নিয়ে সিবিআই নতুন করে যে এফআইআর দায়ের করেছে, তাতে জিন্দল স্টিল ও তার কর্ণধার নবীন জিন্দলের নাম থাকার কারণেই হু হু করে পড়েছে সংস্থার শেয়ার দর।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এ দিন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে হস্তক্ষেপ করেছে বলে লেনদেনকারীদের সূত্রে জানানো হলেও সরাসরি তা কবুল করেনি শীর্ষ ব্যাঙ্ক। অর্থনীতি বিষয়ক সচিব অরবিন্দ মায়ারাম বলেছেন, “কেন্দ্র টাকার পতন নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় নেই। বিদেশি লগ্নিকারীরা বাজারে ফিরলে দু’একদিনের মধ্যেই টাকার দাম স্থিতিশীল হবে।” পাশাপাশি, অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, বিদেশি লগ্নি বাড়াতে ব্যবস্থা নিচ্ছে তারা। এমনকী অনাবাসী ভারতীয়দের জন্য এনআরআই বন্ড ছাড়া হতে পারে। উদ্বিগ্ন অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, টাকাকে টেনে নামাচ্ছে একাধিক কারণ।
যেমন:
১) বিপুল পরিমাণ সোনা আমদানি;
২) সব মুদ্রার তুলনায় ডলারের দাম বাড়া;
৩) আমেরিকা তার আর্থিক ত্রাণ প্রকল্প শীঘ্রই তুলে নেবে, মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্কের এই ইঙ্গিত। শেষ কারণটিই বিশ্ব জুড়ে ডলারের দাম বাড়ায় ইন্ধন জুগিয়েছে।
|