উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় সিপিএম নেতা নাজির আহমেদ খুনের ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু মামলায় অভিযুক্তরা কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম। বৃহস্পতিবার চোপড়ায় সিপিএমের ডাকা বন্ধ-এ দিনভর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে যায়। বিকেলে সিপিএম-এর রাজ্য কমিটির সদস্য সুবীর বিশ্বাস অভিযোগ করেন, “তৃণমূলের চাপে পড়েই পুলিশ কোনও দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেনি। আমরা জানি কী ভাবে আন্দোলন করলে দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার হবে। কয়েক দিনের মধ্যেই দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার না হলে সেই আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।” তবে সিপিএম ওই কর্মাধ্যক্ষ খুনের ঘটনায় কোনও রাজনীতি নেই বলে দাবি করছেন চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। তিনি বলেন, “দিনেদুপুরে খুন সত্যিই দুঃখজনক। পুলিশের উচিত খুব শীঘ্রই দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে ওই ব্যক্তি খুন হয়েছেন বলে শুনেছি। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।” তবে ওই ঘটনার পরে এলাকার এক তৃণমূল নেতা ও তার ভাই এর বাড়ি ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনারক নিন্দা করেছেন চোপড়ার বিধায়ক। চোপড়ার কংগ্রেস নেতা অশোক রায়ও দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল বলেন, “খুনের ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তদন্ত চলছে।” বুধবার চোপড়ার ঝাড়বাড়ি মোড়ে বাড়ি থেকে সামান্য দূরেই খুন হন চোপড়ার সিপিএম এর কর্মাধ্যক্ষ নাজির আহমেদ। ওই ঘটনার পরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চোপড়া। দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়েছি। এলাকায় যান পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদীও। তিনি এই দিন বলেন, “খুনের মামলায় জড়িতদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।”
|