শাসক দলের এক কর্মী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর আগাম জামিন মঞ্জুর করল মুর্শিদাবাদ জেলা ও দায়রা আদালত।
অধীরের আইনজীবীদের দাবি, কেস ডায়েরিতে পুলিশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট কোনও প্রমাণই দাখিল করতে পারেনি। তাঁর জামিন মঞ্জুর করার ব্যাপারে তাই এ দিন কোনও বাধা ছিল না। রেলের অনুষ্ঠানে অধীর বেঙ্গালুরুতে। বৃহস্পতিবার সেখান থেকেই ফোনে তিনি বলেন, “বিচার ব্যবস্থার উপরে আমার বরাবর আস্থা ছিল। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে যে আমার বিরুদ্ধে খুনের মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, সে কথা বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমেই প্রমাণ হবে।”
২০১১ সালের ১৫ মে বহরমপুর শহরে খুন হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী কামাল শেখ। সে খুনের তদন্তে নেমে জেলা পুলিশ গত সেপ্টেম্বর মাসে চার্জশিট জমা দেয়। সেখানে অধীরের নাম থাকলেও পুলিশ তাঁকে ‘ফেরার’ হিসেবে উল্লেখ করে। যা শুনে অধীরের প্রশ্ন ছিল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে বহরমপুর এলে পুলিশই তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। অথচ তারাই বলছে ‘মন্ত্রী ফেরার’? প্রাথমিক ভাবে আগাম জামিন নেওয়ারও পক্ষপাতী ছিলেন না তিনি। শেষ পর্যন্ত হাইকমান্ডের পরামর্শে বহরমপুর আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন অধীর।
কিন্তু, গত ৯ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা বিচারক রেল প্রতিমন্ত্রীর আগাম জামিন মঞ্জুর না করে তাঁকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন দেন। ২৯ অক্টোবর বহরমপুর বার অ্যাসোসিয়েশন কর্মবিরতির ডাক দেওয়ায় সে দিন শুনানি স্থগিত হয়ে যায়। অধীরের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদও, প্রথমে ১৬ নভেম্বর এবং পরে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আদালত ২৮ নভেম্বর তাঁর আগাম জামিনের শুনানির দিন ধার্য করে। এর মাঝে রাজ্য সরকার তাঁর অন্তর্বর্তী জামিন খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করে। বিচারপতি নিশিথা মাত্রে ও ইন্দ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দেন।
|