অভ্যাস মতো ‘বিস্ময় গোল’ না করুন, নিজের শততম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচকে গোল করেই স্মরণীয় করে রাখলেন বিশ্ব ফুটবলের বিস্ময় স্কোরার জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচ। ক’দিন আগেই রোনাল্ডোর সঙ্গে যুদ্ধে হেরেছেন। দু’গোল করেও নিজের দেশ সুইডেনকে ২০১৪ বিশ্বকাপে নিয়ে যেতে পারেননি। হ্যাটট্রিক করে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো পর্তুগালকে দিয়েছেন ব্রাজিলের টিকিট। ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারের সেরা তিন দাবিদারের মধ্যেও প্যারিস সাঁ জাঁ-র মহাতারকার নাম উচ্চারিত হচ্ছে না। ব্যালন ডি’অর-এর লড়াই রিবেরি-রোনাল্ডো-মেসির মধ্যে। তাতেও দমবার পাত্র নন বত্রিশ বছরের স্ট্রাইকার। বুধবার রাতে ছুঁয়ে ফেললেন এক অন্য নজির। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ‘সেঞ্চুরি’ ম্যাচ খেলে ফেললেন। |
এক যুগ ধরে (২০০১-’১৩) ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত ছয় ক্লাবের জার্সি গায়ে। আয়াখস থেকে বার্সেলোনা। ইন্টার থেকে জুভেন্তাস। মিলান থেকে প্যারিস সাঁ জাঁ। ইব্রা বদমেজাজি, কোনও ক্লাবে বেশি দিন টিকতে না পারার বদনাম তাঁর সঙ্গী হলেও সব দলেই একটা ব্যাপারে তাঁর ভীষণ মিল গোল করার ক্ষমতা। শততম ম্যাচেও প্রথম গোলটা ইব্রার, সাত মিনিটেই। অলিম্পিয়াকোসের বিরুদ্ধে ম্যাচটা প্যারিস সাঁ জাঁ অন্তিম মিনিটে (৯০) কাভানির গোলে ২-১ জিতলেও ইব্রার হুঙ্কার, “নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে আমার ব্যালন ডি’অর-এর দরকার নেই।”
এ মরসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রোনাল্ডোর সঙ্গে যুগ্ম সর্বোচ্চ গোলদাতা ইব্রা। দু’জনেরই আট গোল। সঙ্গে এ বারের টুর্নামেন্টে দ্রুততম হ্যাটট্রিকের একক মালিক ইব্রাহিমোভিচ। আন্ডারলেখটের বিরুদ্ধে ১৯ মিনিটে তিন গোল করেছিলেন। সে জন্যই হয়তো নিজের শততম ম্যাচের রাতে বলেছেন, “ব্যালন ডি’অর অন্যদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তাদের কাছে এই পুরস্কারের অনেক মানে। আমার কাছে নয়। আমার কাছে ব্যালন ডি’অর-এর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমি নিজেকে কেমন ফুটবলার মনে করি সেটাই। এবং আমি জানি আমি কত বড় ফুটবলার। আর সেটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।” ইব্রার শততম ম্যাচে তাঁর দলের জয় আরও বেশি কৃতিত্বের কারণ, দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরোটাই দশ জনে খেলেও জেতে প্যারিস সাঁ জাঁ। ভেরাত্তি দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের জেরে লাল কার্ড দেখেন ৪৬ মিনিটে। ইব্রাদের কোচ লরা ব্লঁ বলেছেন, “আন্ডারলেখটের বিরুদ্ধে আমরা নক আউটে ওঠার কাজটা চূড়ান্ত করতে পারিনি। তাই এই ম্যাচে সেটা করতে মরিয়া ছিলাম।” |