|
|
|
|
হীনবল লহর এখন নিম্নচাপ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আশঙ্কা শেষ পর্যন্ত সত্যি হলে চোখের জল ঝরত অনেক। দীর্ঘ যাত্রাপথে নিজের ভিতরের সব জল নিজেই ঝরিয়ে দিয়ে মানুষের সেই দুর্গতি রুখে দিল লহর। চেহারা নিল নিম্নচাপের।
পিলিন, হেলেনের পরে নতুন ঘূর্ণিঝড় লহর রবিবার জন্ম নিয়েছিল আন্দামান সাগরে। শক্তি সঞ্চয় করতে করতে প্রবল ঘূর্ণিঝড় এবং অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হয়ে উঠেছিল সে। তার পরে শুরু হয় তার তেজ সংবরণের পালা। অবশেষে সাধারণ নিম্নচাপ হিসেবেই বৃহস্পতিবার অন্ধ্র উপকূল দিয়ে স্থলভূমিতে ঢুকেছে লহর। অনেক কমে গিয়েছে বিপর্যয়ের আশঙ্কা। নিম্নচাপটি স্থলভূমিতে ঢোকার পরেই বঙ্গোপসাগর দিয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়ছে মেঘ। তার জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আকাশ ছিল মেঘলা। আজ, শুক্রবারেও মেঘ থাকবে।
স্বাভাবিকের উল্টো পথে লহরের এমন অবস্থা হল কোন জাদুতে?
আবহবিদেরা জানান, উপকূলের কাছাকাছি সাধারণত সমুদ্রতলের তাপমাত্রা বেশি থাকে। তার ফলে বাষ্পীভবন হয়ে জলীয় বাষ্প উপরে উঠে যায়। নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় উপকূলের দিকে এগোনোর সময় ওই জলীয় বাষ্প টেনে নেয়। তাতে তার তীব্রতা বাড়ে। অক্টোবরে অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার আগের মূহূর্তে কিছুটা থমকে গিয়ে এ ভাবেই শক্তি বাড়িয়েছিল পিলিন। কিন্তু লহরের ক্ষেত্রে আছড়ে পড়ার আগে শক্তি বাড়েনি। কারণ, উপকূলের কাছে সমুদ্রের তাপমাত্রা ছিল কম। তাই অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প টেনে নিতে পারেনি লহর। আন্দামান সাগরে সে যে-মাত্রায় বাষ্প টেনেছিল, তা-ও ধরে রাখতে পারেনি। স্থলভূমির দিকে যাত্রা শুরু করতেই সেই জলীয় বাষ্পের অনেকটাই বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে।
হাওয়া অফিসের খবর, এ দিন কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে দু’ডিগ্রি বেশি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ জানান, মেঘ ঢুকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। মেঘ কাটলে আকাশ পরিষ্কার হবে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কাশ্মীর থেকে উত্তর ভারতের দিকে বয়ে এলে বাড়বে উত্তুরে হাওয়ার দাপটও। রবিবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা কমতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। মৌসম ভবন এ দিন জানায়, আজ, শুক্রবার কাশ্মীরে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আছড়ে পড়তে পারে। রবিবার নাগাদ তা বয়ে আসতে পারে উত্তর ভারতের দিকে।
|
পুরনো খবর: শক্তি খোয়াল লহর, আশঙ্কা নেই বাংলার |
|
|
|
|
|