|
|
|
|
বরাক দিয়ে চিনে পাচার মাদক-ওষুধ |
উত্তম সাহা • শিলচর |
বরাক উপত্যকা এবং মিজোরামের আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকা থেকে দশ মাসে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার নেশার ওষুধ, মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে বিএসএফ। ২০১০-এ তার পরিমাণ ছিল ৪৩ লক্ষ টাকা।
চোরাপাচারের তালিকায় হেরোইন, ব্রাউন সুগারকে পিছনে ফেলেছে ‘সিউডোফেড্রাইন ট্যালেট’ নামে একটি ওষুধ। তিন বছরে ওই এলাকায় মাদক-ওষুধের পাচার বেড়েছে হাজার গুণ!
বিএসএফ কর্তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক একটি চোরাচালান চক্র মায়ানমার ও চিনে মাদক, নেশার জন্য ওষুধ পাচারের জন্য বরাক উপত্যকাকেই ‘করিডর’ করতে চেয়েছিল। কয়েক মাস আগে দু’দফায় ১০০ কোটি টাকার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর তা স্পষ্ট হয়েছিল। তারই জেরে নজরদারি বাড়িয়ে দেয় বিএসএফ।
সরকারি সূত্রের খবর, শুধু মাদকদ্রব্যই নয়, যা খেলে নেশা হয় এমন ওষুধও পাচার হচ্ছিল সেখানে। বাজেয়াপ্ত সামগ্রীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল ‘সিউডোফেড্রাইন ট্যালেট’। যার বাজারদর প্রায় ৪৪১ কোটি টাকা। ধরা পড়েছে ডব্লু ওয়াই ট্যাবলেট, পারভন ক্যাপসুলও। প্রায় ২ কোটি টাকার কেটামাইন পাউডারও মিলিছে। ১৩ লক্ষ টাকার কাফ-সিরাপও উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে দেড় কোটি টাকার ব্রাউন সুগার, হেরোইন এবং গাঁজা বাজেয়াপ্ত করেছে বিএসএফ।
ঘটনাটিকে উদ্বেগজনক বলে মেনে নিলেও বিএসএফের কাছাড়-মিজোরাম অঞ্চলের ইনস্পেক্টর জেনারেল এ সি থাপলিয়ালের দাবি, ওই সীমান্ত দিয়ে মাদক-পাচার সম্ভব নয়, তা বুঝেছে চোরাচালান চক্রটি। তাঁর কথায়, “আন্তর্জাতিক সীমান্ত পুরোপুরি সুরক্ষিত। অনুপ্রবেশও হয়নি।” তিনি জানান, কয়েকটি এলাকা ছাড়া সব জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। সীমান্তে আলো লাগানোর কাজ চলছে। সে জন্য রাতে রক্ষীদের নজর এড়ানো সম্ভব হবে না। বিদ্যুৎ চলে গেলেও কাঁটাতার-সংলগ্ন এলাকা যাতে অন্ধকারে না ডুবে যায়, সে জন্য জেনারেটরও বসানো হবে। |
|
|
|
|
|