নির্দেশ মানতে ফের ট্রাইয়ের হুঁশিয়ারি
লকাতা মেট্রো এলাকার অধিকাংশ কেবল টিভির গ্রাহক এখনও ছাপানো বিল পান না। মাল্টি সিস্টেম অপারেটররা (এমএসও) গ্রাহক পরিচালন ব্যবস্থা (সাবস্ক্রাইবার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা এসএমএস) চালু করতে পারেননি। এ সব লক্ষ করে ট্রাই ফের হুঁশিয়ারি দিয়েছে আজ, শুক্রবার ২৯ নভেম্বরের মধ্যে ছাপানো বিল দেওয়া বা পরিচালন ব্যবস্থা সংক্রান্ত নির্দেশ না মানলে ‘কড়া ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে।
এ নিয়ে ট্রাইয়ের উপদেষ্টা জি এস কেশরওয়ানি ট্রাইয়ের নির্দেশের কথা স্বীকার করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানের এক সূত্র বলেন, “এ বারের নির্দিষ্ট সময়সীমা দ্বিতীয় পর্যায়ে সেট-টপ বক্স লাগানো শহরগুলির জন্য ছিল। কিন্তু প্রথম পর্যায়ের চার শহর কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই ও চেন্নাইয়ে এখনও ছাপানো বিলের সমস্যা থেকে গিয়েছে। তাই কলকাতার এমএসওদের হুঁশিয়ারি দিতে হয়েছে।”
দিল্লিতে ট্রাইয়ের সদর দফতর থেকে বারবারই এ ধরনের ‘কড়া ব্যবস্থা’ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও তার প্রভাব কলকাতায় দেখা যায়নি, এমনটাই মনে করেন সাধারণ গ্রাহকেরা। চ্যানেলের ‘প্যাকেজ’ নিয়ে স্থানীয় অপারেটরদের সঙ্গে গ্রাহকদের প্রতি মাসেই ঝামেলা লেগে থাকছে। তা নিয়ে ট্রাইয়ের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ পৌঁছলেও এ পর্যন্ত কোনও সুরাহা দেখতে পাননি গ্রাহকেরা।
এর পাশাপাশি কম্পিউটারে ছাপানো বিল হাতে না-পাওয়া নিয়েও ঝামেলা শুরু হয়ে গিয়েছে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। সংবাদপত্রে গ্রাহকেরা দেখেছেন যে, ট্রাই এই বিল পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ এলাকায় স্থানীয় অপারেটররা বড়জোর নিজেদের ছাপানো বিল দিয়ে টাকা তুলছেন।
শহরের একটি বড় এমএসও সংস্থা মন্থনের প্রধান সুদীপ ঘোষ জানান, তাঁদের তৈরি বিল অপারেটরদের হাত ঘুরে গ্রাহকের কাছে পৌঁছচ্ছে না। তিনি বলেন, “আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রাহকের কাছে বিল পৌঁছে দিতে পারব।” সিটি কেবলের সুরেশ শেঠিয়া বলেন, “কম্পিউটারে তৈরি বিল দিতেই চাই। সেই কাজ সব সময়েই চলছে। কিন্তু অপারেটরদের একাংশ এতে অসহযোগিতা করেন। ফলে এক পাড়ায় বিল যাচ্ছে, অন্য পাড়ায় যাচ্ছে না এমন গোলমাল লেগেই রয়েছে। এতে এমএসও-রা গ্রাহকদের টাকা পাচ্ছেন না, চ্যানেলগুলোকেও ভুগতে হচ্ছে।” ফলে অনেকেই মনে করছেন, ট্রাই ‘কড়া ব্যবস্থা’ নিলে আখেরে গোটা ব্যবসারই উপকার হবে।
কিন্তু অপারেটরদের অভিযোগ, ট্রাইয়ের নির্দিষ্ট সময়সীমা অনেক দিন আগে শেষ হয়ে গেলেও এমএসওগুলি এখনও এসএমএস ব্যবস্থার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কনজিউমার রিক্যুইজিশন ফর্ম (সি আর এফ) দিতে পারেনি। এই ফর্মেই গ্রাহকদের সব তথ্য থাকে। তা ছাড়া, এখনও প্যাকেজও স্থির করে উঠতে পারেনি অনেক এমএসও সংস্থা এই দাবি করে শহরের এক বড় অপারেটর অলক জানা বলেন, “এর জন্যই এমএসও সংস্থাগুলি কম্পিউটারে তৈরি বিল দিতে পারছে না। কিন্তু গ্রাহকদের ছাপানো বিলের দাবি মেটাতে অনেক জায়গায় অপারেটররা নিজেরাই বিল ছাপিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।”

পুরনো খবর:
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.