হেলে পড়েছে বাস ছাউনি। ফলে বাস ধরার জন্য রাস্তার উপরেই বিপজ্জনক ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় যাত্রীদের। ঝুঁকি নিয়েই বাসে ওঠানামা করতে বাধ্য হন তাঁরা। এসএসকেএম হাসপাতাল সংলগ্ন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোডে এটাই রোজকার দৃশ্য।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাত বাড়লেই রাস্তার উপরে যাত্রীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। অপেক্ষমান যাত্রীদের সারি রাস্তার মাঝামাঝি পর্যন্ত চলে যায়। এসএসকেএম এবং এজেসি বসু রোডের সংযোগস্থলে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ নোটিস টাঙিয়েছে, বাসস্ট্যান্ড সামনেই। কিন্তু বাস্তবে সেটা পুরো হেলে পড়েছে। বাস ছাউনির ছাদ নিচু হয়ে এমন ভাবে ঝুলছে যে কেউ দাঁড়ালে তার মাথায় আঘাত লাগতে পারে। দেওয়ালের অংশ পড়ে রয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালের পাশে নর্দমায়। আলো নেই। অথচ এই স্ট্যান্ডটিকে শহরের অন্যান্য বাস ছাউনির মতোই সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। তার কিছু প্রমাণও রয়েছে সেখানে। দিন কয়েক আগেই কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে শহরের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড নতুন করে সাজিয়েছিল পুরসভা।
|
তা হলে কয়েক মাসের মধ্যেই এই হাল কেন? রক্ষণাবেক্ষণের অভাব? মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জবাব, “খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।”
ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা এসএসকেএম এবং এজেসি বসু রোডের ওই সংযোগস্থল। সেখান থেকেই হাওড়া ও বেহালার অধিকাংশ বাস যায়। গাড়ির চাপও খুব বেশি। ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। বেহালার বাসিন্দা অধীর রায় বলেন, “ওখান থেকে বাসে ওঠানামা করতে ভয় লাগে। একটু অসতর্ক হলেই বিপদ অনিবার্য।” ওই মোড়ে কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশ জানান, একটু এগোলেই বাস ধরার জায়গা। তবু যাত্রীদের ওই মোড় থেকে সরানো যায় না।
কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্রাফিক) দিলীপ আদকেরও মত, সচেতনতার অভাবেই এসএসকেএম এবং এজেসি বসু রোডের সংযোগস্থলে সন্ধ্যায় নিত্যযাত্রীরা বিপজ্জনক ভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন। তিনি বলেন, “যতই চেষ্টা করি, যাত্রী ও পথচারীরা সচেতন না হলে কিছুই হবে না।” |