কেউ শালুগাড়ার, কেউ নিউ জলপাইগুড়ি মোড় এলাকার বাসিন্দা। ওই সমস্ত ফুটবলারদের নিয়ে দল গড়েই বাজিমাত করল কিশোর সঙ্ঘ। তিন বারের চ্যাম্পিয়ন দল বিবেকানন্দ ক্লাব (ভিএনসি)-কে বুধবার ২-১ গোলে হারিয়ে দিল তারা।
প্রথমে ঘানার ফুটবলার এনোকের গোলে এগিয়ে যায় ভিএনসি। এর সাত মিনিট পরেই ভিএনসির বক্সে বল পেয়ে শিলিগুড়ির সুমন্ত বর্মন হেড করে কিশোর সঙ্ঘের পক্ষে প্রথম গোলটি করেন। আর তাদের হয়ে ম্যাচের জয় সূচক গোলটি করেন সত্যেন রায়। |

বল দখলের লড়াই। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক। |
প্রথমার্ধে ৩২ মিনিটে কিশোর সঙ্ঘের সত্যেন বিপক্ষের দুজন ডিফেন্ডারকে টপকে ওই গোলটি করেন। যা দেখে কিশোর সঙ্ঘের কর্মকর্তারা উল্লসিত। সত্যেন, সুমন্তদের নিয়ে দল গড়ে যে চমক দেওয়া যায় সেটাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য। উঠতি ওই ফুটবলারদের তুলে ধরতে এই নৈশ ফুটবলের আসর যে উপযুক্ত হবে তা তাঁরা জানেন। বিশেষ করে শিলিগুড়ির এই পুরনো ফুটবল প্রতিযোগিতা ঘিরে শহরের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে আলাদা উদ্দীপনা রয়েছে। এ দিনের জয় এই ফুটবলারদের দিকে অন্যান্য ক্লাবের কর্মকর্তাদেরও নজর টানবে বলে তাঁরা মনে করছেন। কিশোর সঙ্ঘের কোচ চন্দন গুরুঙ্গ এ দিন দলের ফুটবলারদের খেলার প্রশংসা করেন।
হারের পর এ দিন ভিএনসি অবশ্য রেফারির বিভিন্ন সিদ্ধান্তকে দুষছে। তাদের কোচ শেরিং ভুটিয়া, “রেফারির একাধিক সিদ্ধান্ত আমাদের বিরুদ্ধে যাওয়াতেই হারতে হল।” তাঁর দাবি, অন্তত একটি ন্যায্য পেনাল্টি পাওয়া থেকে রেফারির সিদ্ধান্ত তাদের এ দিন বঞ্চিত করেছে। এ দিন ম্যাচের সেরা ফুটবলার কিশোর সঙ্ঘের অধিনায়ক জামশেদ আলি। তাঁর কথায়, “আমাদের খেলায় কয়েকটি ক্ষেত্রে আরও উন্নতি করতে হবে।” দ্বিতীয়ার্ধের খেলা অনেকটাই গতি হারায়। ট্রফি জিততে পরের ম্যাচে তাই সে সব ভুল শুধরে নিতে চায় জামশেদদের দল।
ভিএনসি’র হয়ে এনোক অবশ্য এ দিন চেষ্টা করছিলেন। তবে প্রথম গোলের পর আর কিছু করে উঠতে পারেননি।
|