ফ্ল্যাটের দাম মিটিয়ে দেওয়ার দুই বছর পরেও নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ করে ক্রেতাদের তা হস্তান্তরিত না করায় সরকারি আবাসন প্রকল্পের কাজ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার ওই অভিযোগে প্রধাননগরে রাজ্য আবাসন পর্ষদের অফিসে গিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি ডিরেক্টর (ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্ক) অর্ধেন্দু শেখর পণ্ডিতকে দফতরে ঘেরাও করে রাখেন ক্রেতাদের একাংশ। ঠিক কবে ওই আবাসন প্রকল্পে তাদের ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজ শেষ করে হস্তান্তর করা হবে তা লিখিত ভাবে জানানোর দাবি তোলেন। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও সম্প্রতি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। শীঘ্রই কাজ করা হবে আশ্বাস দেওয়া হলে পরে ঘেরাও তোলেন ওই বাসিন্দারা। ডেপুটি ডিরেক্টর অর্ধেন্দুবাবু বলেন, “কিছু সমস্যার জন্য মাঝে কাজ করা যায়নি। তবে সমস্যা মিটিয়ে শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে।” |
সময়ে ফ্ল্যাট না পেয়ে ঘেরাও প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্তকে। —নিজস্ব চিত্র। |
রাজ্য আবাসন পষর্দ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইস্টার্নবাইপাস লাগোয়া এলাকায় ‘হিমালয় কন্যা’ ফেজ-৩ প্রকল্পে ফ্ল্যাট, জমি-সহ ডুপ্লেক্স বাড়ি কেনেন অমরনাথ মণ্ডল, অমিত চৌধুরী, সুভাষচন্দ্র রায়ের মতো ওই ক্রেতারা। অধিকাংশই ব্যাঙ্ক থেকে ঋ
ণ নিয়ে বাড়ি কিনেছেন। তবে বাড়ির দল্লি এখনও না পাওয়া ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাদের উপর চাপ দিচ্ছে বলে জানান। হিমালয় কন্যা ফেজ-৩ ফ্ল্যাট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অমরনাথ মণ্ডল, সদস্য সুভাষ চন্দ্র রায়রা বলেন, “একাধিকবার দফতরে যোগাযোগ করলেও কবে ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজ শেষ করে আমাদের দেওয়া হবে তা স্পষ্ট করে জানানো হচ্ছে না। দফতরের একাংশ আধিকারিক দুর্নীতিগ্রস্ত। নানা ধরনের অনিয়ম তারা করেছেন বলেই আমাদের আশঙ্কা। তা না হলে পুরো টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দুই বছর পরেও তারা কেন আমাদের ফ্ল্যাট দিতে পারছেন না?” |