প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রে অস্থায়ী বদলির কোনও নিয়ম নেই বলে জানালেন শিলিগুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান মুকুল কান্তি ঘোষ। অথচ প্রাক্তন চেয়ারম্যান সমর চক্রবর্তী তাঁর মেয়াদ ফুরনোর আগে শিলিগুড়ি মহকুমার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি থেকে দুই শতাধিক শিক্ষককে অস্থায়ী বদলির অনুমোদন দিয়েছেন বলে অভিযোগ। তা ছাড়া বাম জমানায় ২০০৩ সাল থেকে অনেক শিক্ষক শিক্ষিকাকে এই মহকুমার বিভিন্ন স্কুলে এ ভাবে বদলি করা হয়েছে বলে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে। মুকুলবাবু বলেন, “অস্থায়ী বদলির কোনও নিয়ম নেই। এতদিন ধরে যাদের অস্থায়ী ভাবে বদলি করা হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বোর্ড মিটিংয়ে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। তার পরে সিদ্ধান্ত হবে।”
পাশাপাশি অস্থায়ী ভাবে যারা বদলির আবেদন করেছিলেন তাদের আবেদনপত্রে বিভিন্ন গরমিল সংসদের নজরে এসেছে। চেয়ারম্যান জানান, অনেক শিক্ষক তাদের জন্মের দিনক্ষণ দুই তিন রকম উল্লেখ করেছেন। কবে তাঁরা কাজে যোগ দিয়েছেন সে ব্যাপারেও একেক জায়গায় আলাদা দিনক্ষণ উল্লেখ করেছেন কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা। সে সব চিহ্নিত করা হচ্ছে। এগুলির বিরুদ্ধে-ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্য দিকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষার ফল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে এ দিন শিলিগুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের দফতরে অবস্থান বিক্ষোভ দেখায় সিপিএমের যুব এবং ছাত্র সংগঠন ডিওয়াইএফ এবং এসএফআই। পরে চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি দেন তারা। তবে চেয়ারম্যানকে আগাম বিষয়টি না জানানোয় তিনি প্রাথমে স্মারকলিপি নিতে চাননি। পরে আগাম না জানানোর বিষয়টি উল্লেখ করে স্মারকলিপি নেন। এসএফআই-এর জেলা সম্পাদক সৌরভ দাস বলেন, “অনেক মেধাবী প্রার্থী পরীক্ষা দিলেও তারা টেট-এ পাশ করতে পারেননি। কারচুপি হয়েছে। আমরা তদন্তের দাবি করছি।” সিপিএমের ছাত্রযুব সংগঠনের তরফে বিভিন্ন জেলাতে এ ব্যাপারে আন্দোলনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানান। চেয়ারম্যান জানান, টেট-এর জন্য কেন্দ্রীয় ভাবে একটি কমিটি তৈরি করে তার মাধ্যমেই সব কিছু করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের কিছু করার নেই। তা ছাড়া শিক্ষামন্ত্রী ইতিমধ্যেই জানিয়েছিলেন প্রার্থীরা চাইলে খাতা দেখতে পারেন। কোথাও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সে সবও খতিয়ে দেখা হবে। |