সংগ্রাম সিংহ রায় • শিলিগুড়ি |
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে এক ইঞ্চি জমি ছাড়েনি কোনও দলই। একদিকে আঠারোখাই সরোজিনী সঙ্ঘ। যাদের দলে রয়েছে তিন ভিনদেশি ফুটবলার। এক জন কঙ্গোর। দু’জন নাইজিরিয়ার। তাঁদের নাম মহম্মদ আদেবা ও মহম্মদ জ্যাকসন ও জুলফিকার আলি। আদেবা ও জুলফিকার না খেললেও জ্যাকসন খেলেন। ইউনাইটেড কার্শিয়াঙে বিদেশি ফুটবলার নেই। তাতে কী! সমানে সমানে টক্কর দিল কার্শিয়াঙের দল। খেলা গড়াল টাইব্রেকারে। তাতে সরোজিনী জিতল ৩-১ গোলে। |
প্রথম দিনেই জমে উঠল নৈশ ফুটবল। ছবি- বিশ্বরূপ বসাক। |
প্রথম দিনই জমে উঠল কিরণচন্দ্র স্মৃতি নৈশ ফুটবল। টাইব্রেকারে তিনটি গোল আটকে দিয়ে এ দিনের ম্যাচের নায়ক আঠারোখাইয়ের গোলরক্ষক অশোক মাহাতো। স্বাভাবিকভাবেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ হিসেবে কারও কথা ভাবতে পারেননি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদকর্তারা। ম্যাচের শেষে একটি গোলকে কেন্দ্র করে রেফারির সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কার্শিয়াঙের ফুটবলাররা। যদিও খেলা শেষ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা বাড়তে পারেনি। প্রথমার্ধে অবশ্য বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে দুই পক্ষই। কিন্তু তাতে গোল হয়নি। লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। প্রথমার্ধে কার্শিয়াঙের রাজ রাউতকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন আঠারোখাইয়ের অভিজিত মুখোপাধ্যায়। কার্শিয়াঙের হয়ে জিতেন রাই বেশ কয়েক বার প্রতিপক্ষকে বোকা বানালেও যোগ্য সঙ্গীর অভাবে তা কাজেই লাগল না। নজর কাড়েন কার্শিয়াঙের নিমা লেপচাও। প্রথমার্ধে গোল না পেয়ে দ্বিতীয়ার্ধে তেড়েফুঁড়ে নামেন দুই দলের খেলোয়াড়রাই। তার ফলে দুই দলই একাধিক ফাউল করে। কার্শিয়াঙের দলটি দু’টি কার্ড ও সরোজিনী একটি হলুদ কার্ড দেখে। |
আঠারোখাই সরোজিনী সঙ্ঘ
১৯৬২ সালের ক্লাব। শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের অনুমোদন ১৯৭৭ সালে। গত মরসুমে শিলিগুড়িতে প্রথম ডিভিশনের রানার্স। হলদিবাড়ি গোল্ড কাপে ১৮ বার চ্যাম্পিয়ন ও ৩০ বার রানার্স। গত মরসুমেই কিরণচন্দ্র নৈশ ফুটবলে প্রথম যোগ দেয়। এ বার লক্ষ্য ট্রফি।
ইউনাইটেড কার্শিয়াং ফুটবল ক্লাব ১৯৮৯ সালে ক্লাবের শুরু। ক্রমশ পাহাড়ি এলাকা ছাড়িয়ে সমতলেও নাম ছড়িয়ে পড়ে। সিএম গোল্ড কাপ জয়ী। গভর্নরস গোন্ড কাপ, বিজয় মেমোরিয়াল গোল্ড কাপেও ভাল খেলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। হেরে এবার টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলেও লড়াকু দল হিসেবে ছাপ ফেলেছে।
আজ রাতের খেলা
বিবেকানন্দ ক্লাব বনাম কিশোর সঙ্ঘ। |