রানওয়ের মতোই মসৃণ, নিখাদ পাটা এবং ধীরগতির উইকেট পালামের এয়ারফোর্স গ্রাউন্ডে। তাই সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে আর বেশি ঝুঁকি না নিয়ে দুই স্পিনারে নামার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলার। সৌরাশিস লাহিড়ীর সঙ্গে ইরেশ সাক্সেনাকেও সম্ভবত নেওয়া হবে প্রথম এগারোয়। সেক্ষেত্রে বসতে হবে সম্ভবত পেসার সৌরভ সরকারকে। বাংলা শিবির থেকে এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেল বুধবারের প্র্যাকটিসের পর।
শততম রঞ্জি ম্যাচ বাংলা অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লর। তবে তাঁর কাছে এর চেয়েও বড় ব্যাপার এই ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট পাওয়া। চারটি ম্যাচ খেলে এখনও একটাতেও সরাসরি জয় না পাওয়া বাংলার অধিনায়ক বলে দিলেন, “শততম ম্যাচ তখনই মনে রাখার মতো হবে, যদি এই ম্যাচটা আমরা ভাল ভাবে জিততে পারি।” আগের ম্যাচে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ছ’পয়েন্টের বেশ কাছাকাছি চলে গিয়েছিল বাংলা। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে স্লথ ব্যাটিং ও শেষ দিনে বোলারদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত তিন পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। কাজটা কঠিন হলেও এই ম্যাচে সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে ছ’পয়েন্টের জন্য ঝাঁপাতে চায় বাংলা, বললেন কোচ অশোক মলহোত্র। বললেন, “ওরা মধ্যপ্রদেশের কাছ থেকে তিন পয়েন্ট পেয়েছে। আমরা কিন্তু তিন পয়েন্ট খুইয়েছি। তাই ওদের সমীহ করতেই হবে। তবু ছ’পয়েন্টের কথা মাথায় নিয়েই মাঠে নামতে হবে আমাদের। প্রথমে দ্রুত তিন পয়েন্ট সুরক্ষিত করে নিয়ে পরে ছ’পয়েন্টের জন্য ঝাঁপাতে হবে। সমস্যাটা হচ্ছে, আমাদের ব্যাটসম্যানরা দরকারে বড় ও দ্রুত রান পাচ্ছে না। মনোজ তিওয়ারির অভাব টের পাচ্ছি।”
তিন ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় সার্ভিসেস সাত নম্বরে। বাংলা সেখানে আট পয়েন্ট পেয়ে পাঁচ নম্বরে। যদিও তারা একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে। এই ম্যাচ থেকে অন্তত তিন পয়েন্ট না জোগাড় করতে পারলে যে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার দৌড়ে দু’দলের কপালেই দুঃখ আছে, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। যেহেতু পাটা উইকেট, তাই এই মাঠে প্রতি ম্যাচেই রানের বন্যা বইয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। এমন উইকেট পেয়ে বাংলার টপ অর্ডার রানে ফিরতে পারে কি না, সেটাই দেখার।
গত বারের সেমিফাইনালিস্ট সার্ভিসেসের ব্যাটিংয়ে প্রধান ভরসা অভিজ্ঞ যশপাল সিংহ ও তরুণ অলরাউন্ডার রজত পালিওয়াল, যিনি সম্প্রতি ভারত ‘এ’ দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’-র বিরুদ্ধে সিরিজে খেলেছেন। সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পেসার সুরজ যাদব কোটেশ্বর রাও দু’জনেই গত ম্যাচে ফর্মে ছিলেন।
|